‘ইব্রাকে কেনা মানেই ফেরারি কেনা’
ইব্রাহিমোভিচ ও ফেরারি—এ দুটি নাম শুনলে সবার আগে কার কথা মনে পড়ে?
অবশ্যই পেপ গার্দিওলা। বার্সলোনায় এক মৌসুম খেলার সময় গার্দিওলার খেলোয়াড় ব্যবস্থাপনায় খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না ইব্রা। বরাবরই ঠোঁটকাটা এই স্ট্রাইকার তাই তখনকার কোচ গার্দিওলাকে তাক করে বলেছিলেন, ‘আমাকে কিনলেন মানে একটা ফেরারি কিনলেন। ফেরারি চালাতে প্রিমিয়াম পেট্রল লাগবে ট্যাংকে। গার্দিওলা ট্যাংকে ডিজেল ভরে এদিক-ওদিক চক্কর দিলেন। তার আসলে একটা ফিয়াট কেনা উচিত ছিল।’
ইব্রার বয়স এখন ৪০ বছর। আগের চেয়ে গতি কিছুটা কমেছে, খেলার ধারও। কিন্তু মুখের ধার? এতটুকু-ও না! কথার মধ্যে ইতালিয়ান স্পোর্টস কার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি টেনে আনায়ও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কীভাবে? ফর্মুলা ওয়ানের অফিশিয়াল মৌসুম শুরু হওয়ার পর ফেরারির স্পোর্টস কার পরীক্ষার জায়গা ফিওরানোয় গিয়েছিলেন এসি মিলান তারকা। সেখানে ফেরারির ২৯৬ জিটিবি স্পোর্টস কার টেস্ট ড্রাইভও (পরীক্ষামূলক চালনা) করেন ইব্রা। ফেরারির দুই চালক শার্ল লেকলেয়ার ও কার্লোস সাইঞ্জের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। বাহরাইন গ্রাঁ প্রিঁ-তে প্রথম হয়েছিলেন লেকলেয়ার, দুইয়ে থেকে রেস শেষ করেন সাইঞ্জ।
লেকলেয়ার, সাইঞ্জ ও ইব্রাকে নিয়ে একটি পরিকল্পনা ফেঁদেছে ফেরারি। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার (উয়েফা) সঙ্গে এ নিয়ে কথাও বলেছে ফেরারি। ২৫ মার্চ তিনজনকে নিয়ে একটি ভিডিও মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এরই মধ্যে তার টিজার ক্লিপ বের হয়েছে—সেখানে দেখা গেছে, হেলমেট পরে ইব্রা ফেরারির একটি গাড়ি চালিয়ে বৃত্তাকারভাবে চক্কর খাচ্ছেন। সাইঞ্জ তা দেখছেন। গাড়িটি চালানোর সময় ইব্রা বলছেন, ‘ইব্রাহিমোভিচকে কেনা মানেই ফেরারি কেনা।’ পরে এ কথাও যোগ করেন, ‘মাঠে ওরা আমাকে ফেরারি বলে।’
মিলানের হয়ে এ মৌসুমে লিগে ১৮ ম্যাচে ৮ গোল করেছেন ইব্রা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে খেলেছেন ২২ ম্যাচ। সিরি আ-তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও উঠেছে মিলান। ৪০ বছর বয়সে ইব্রার সেই আগের দাপট না থাকলেও তাঁর মাঠের পারফরম্যান্সে ক্লাব কিন্তু সন্তুষ্টই। আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে এপ্রিলে বোলোনিয়ার বিপক্ষে এখন মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুইডিশ কিংবদন্তি।