ইউরোপা লিগ চোখ রাঙাচ্ছে বার্সেলোনাকে
বার্সেলোনা কোচ হিসেবে ডাগ আউটে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই কঠিন বাস্তবতা টের পেলেন জাভি হার্নান্দেজ। চ্যাম্পিয়নস লিগে কাল রাতে ঘরের মাঠে বেনফিকার বিপক্ষে জিততে পারেনি বার্সা।
গোলশূন্য ড্র করায় এখন শেষ ষোলোয় ওঠা নিয়েই শঙ্কায় কাতালান ক্লাবটি। গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়লে ইউরোপিয়ান ফুটবলে দ্বিতীয় সারির টুর্নামেন্ট ইউরোপা লিগে নেমে যেতে হবে জাভির দলকে।
পর্তুগিজ ক্লাবটির বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগির পর ‘ই’ গ্রুপে ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দুইয়ে বার্সা। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ। বেনফিকা ৫ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়। এ গ্রুপ থেকে নিজেদের শেষ ম্যাচে বার্সার প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ।
জার্মান ক্লাবটি গ্রুপপর্বে অপরাজিত, ৫ ম্যাচে ১৯ গোল করে রয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে। অন্যদিকে বেনফিকা নিজেদের শেষ ম্যাচে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ ডায়নামো কিয়েভের মুখোমুখি হবে। ৫ ম্যাচে জয়হীন কিয়েভ ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানির দল।
গ্রুপপর্বে পারফরম্যান্স বিবেচনায় ধরে নেওয়া হচ্ছে, বায়ার্নের বিপক্ষে জিততে পারবে না বার্সা। জিততে হলে তো গোল করতে হবে। বার্সা এ পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ২ গোল করার বিপরীতে হজম করেছে ৬ গোল। অন্যদিকে বায়ার্ন ১৯ গোল করার বিপরীতে হজম করেছে মাত্র ৩ গোল। এমন অবস্থায় বার্সার সামনে শেষ ষোলোয় ওঠার সমীকরণ হলো—বায়ার্নকে নিজেদের শেষ ম্যাচে হারাতেই হবে।
ড্র করলেও ঝুঁকিটা থাকবে। কারণ, কিয়েভের বিপক্ষে বেনফিকা জিতবে—এটাই স্বাভাবিক হিসেব। তেমন হলে এবং বায়ার্নকে বার্সা হারাতে না পারলে গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠবে বেনফিকা। তখন তৃতীয় দল হিসেবে ২০০৪ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপা লিগে নেমে যাবে বার্সা।
বায়ার্নের ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটা খেলবে বার্সা। এ ম্যাচ সামনে রেখে কাল ড্রয়ের পর বার্সার কোচ জাভি বলেন, ‘আমাদের আর এক ম্যাচ আছে এবং মিউনিখে জিততে হবে। অর্থাৎ আরও একটি বুলেট আছে। তবে এভাবে খেললে জিততে পারব...আমরা মিউনিখে জেতার জন্যই যাব। এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমরা নিজেদের ওপরই ভরসা রাখব কারণ যেকোনো দলের বিপক্ষেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।’