ইউক্রেনের জন্য সাহায্য চান তাদের সবচেয়ে বড় ফুটবলার
কারও অনুরোধ তোয়াক্কা করলেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কয়েক সপ্তাহ ধরে সীমান্তে তিনি যখন লাখ লাখ সৈন্য সমাবেশ ঘটাচ্ছিলেন, তখনই বোঝা গিয়েছিল, খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে। সেটিই হলো। ইউক্রেনে হামলা চালালেন পুতিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে স্থল, আকাশ ও নৌপথ দিয়ে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো দেশ আরেক দেশে সর্বাত্মক হামলা চালাল। স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেনের প্রতিটা মানুষের মনে এখন হাজারো শঙ্কার দোলাচল। দেশটির কিংবদন্তি ফুটবলার আন্দ্রেই শেভচেঙ্কোও যার ব্যতিক্রম নন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে ইউক্রেনের ইতিহাসের সেরা এই ফুটবল তারকা শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন। প্রাণ কাঁদছে তাঁর, ‘দিনের প্রথম ভাগে রাশিয়া আমাদের ওপর সর্বাত্মক হামলা চালিয়েছে। আমার দেশের মানুষ ও পরিবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। ইউক্রেনের মানুষ শান্তি ও সার্বভৌমত্ব চায়।’
অন্যান্য রাষ্ট্রের কাছে শেভচেঙ্কো আহ্বান জানিয়েছেন, যেন রাশিয়াকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে এই আগ্রাসন বন্ধে রাজি করানো হয়, ‘আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি, আমাদের দেশকে সাহায্য করুন। সামরিক আগ্রাসন ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বন্ধ করতে রাশিয়ার সরকারকে আহ্বান জানান। আমরা শুধু শান্তি চাই। যুদ্ধ কোনো সমাধান হতে পারে না।’
আগের দিনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের সার্বভৌমত্বের আহ্বান দিয়েছিলেন চেলসি ও এসি মিলানের সাবেক এই স্ট্রাইকার, ‘ইউক্রেন আমার মাতৃভূমি। আমি আজীবন আমার দেশ ও দেশের মানুষ নিয়ে গর্বিত। আমরা এর আগেও অনেক কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে গিয়েছি। ৩০ বছর ধরে আমরা একটা জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি। যে জাতির মানুষেরা স্বাধীনতাকামী ও কঠোর পরিশ্রমী। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আজ বড় কঠিন সময় আমাদের। কিন্তু আমাদের অবশ্যই একতাবদ্ধ থাকতে হবে। একতাবদ্ধ থাকলেই আমরা জিতব।’
গতকাল ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। শহরজুড়ে সতর্কতামূলক সাইরেনের শব্দ ভেসে আসে। আতঙ্কিত মানুষ শহর ছেড়ে পালাতে থাকায় মহাসড়কে তৈরি হয় যানজট।