এ ম্যাচ ইউক্রেনিয়ানদের কাছে শুধুই একটি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ নয়। এ ম্যাচ ইউক্রেনিয়ানদের কাছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ তথা ফুটবলের চেয়ে অনেক বড় কিছু-স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইউক্রেনের ম্যাচটির আগে এমনটাই বলাবলি হচ্ছিল চারদিকে।
ম্যাচ শুরুর আগে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী দুই দলের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর নিয়ম আছে। স্বটল্যান্ডের হ্যাম্পডেন পার্কে ইউক্রেনের জাতীয় সঙ্গীত বেজে ওঠার সময়ই টের পাওয়া যাচ্ছিল-এ ম্যাচ সত্যিই শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচের চেয়ে আরও বড় কিছু। ইউক্রেনের জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠতেই মাঠে ও গ্যালারিতে আবেগের এক পরিবেশ তৈরি হয়।
সেই আবেগের পালা শেষ হয়ে ম্যাচ যখন মাঠে গড়ায়, ইউক্রেনের খেলোয়াড়েরা যেন তাঁদের সর্বশক্তি নিয়ে লড়াইয়ে নামে। এ ম্যাচটি যেন তাঁদের কাছে হয়ে দাঁড়ায় অস্তিত্বের লড়াই। সেই লড়াইয়ে স্কটল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের আরও কাছে চলে গেছে ইউক্রেন। আগামী রোববার কার্ডিফে ওয়েলসকে হারাতে পারলেই পেয়ে যাবে তারা কাতার বিশ্বকাপের টিকিট।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর এই প্রথম মাঠে নেমেছে ইউক্রেন। কিন্তু মাঠে নেমে শুরুটা অসাধারণ করেন ইয়ারমালেঙ্কো-ইয়ারেমচুকরা। ২৫ মিনিটের মধ্যে স্কটল্যান্ডে গোলকিপার গর্ডনকে তিনটি সেভ করতে বাধ্য করে ইউক্রেনের আক্রমণভাগ।
অবশেষে তাঁরা সাফল্য পেয়ে যায় ম্যাচের ৩৩ মিনিটে। স্কটিশদের অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে রুসলান মালিনোভস্কির বাড়ানো বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন ইয়ারমালেঙ্কো। অসাধারণ লবে এরপর তিনি পরাস্ত করেন গর্ডনকে। বিরতির পর ফিরে ইউক্রেনের পক্ষে ব্যবধান ২-০ করেন ইয়ারেমচুক। ৪৯ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোলটি করতে তিনি কারাভায়েভের ক্রস থেকে হেড নিতে পরাস্ত করেন দুজন স্কটিশ ডিফেন্ডারকে।
৭৯ মিনিটে স্কটল্যান্ড দলে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করেছিলেন ক্যালাম ম্যাকগ্রেগর। কিন্তু যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে অসাধারণ এক গোল করে স্কটিশদের সব আশা নিভিয়ে দিয়ে ইউক্রেনিয়ানদের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন উজ্জ্বল করেছেন ডভবিক।