আবারও মরিনিওর পিছু পিছু...
নাম? নেমানিয়া মাতিচ। দেশ? সার্বিয়া। পরিচয়? রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার। সাবেক ক্লাব? ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বর্তমান ক্লাব? এএস রোমা।
তবে এসব ছাপিয়ে ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে মাতিচের আরেকটা পরিচয়ও বড় করে দেওয়া যায়—তিনি জোসে মরিনিওর প্রিয়পাত্র! এই নিয়ে টানা তিনবার জোসে মরিনিওর অধীন খেলার জন্য নতুন ক্লাবে নাম লেখালেন ৩৩ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান মিডফিল্ডার, মরিনিওর পিছু পিছু ক্লাব বদলালেন। ভেবে দেখুন, মরিনিওর কতটা পছন্দের হলে একটা নয়, দুটি নয়, তিন-তিনটি ক্লাবে আলাদাভাবে পর্তুগিজ কিংবদন্তি কোচের অধীনে খেলার সুযোগ পান একজন খেলোয়াড়!
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পাঁচ বছর থাকার পর সম্প্রতি চুক্তি শেষ হয়েছে মাতিচের। কোনো দলবদল ফি ছাড়াই অন্য ক্লাবে নাম লেখানোর জন্য প্রস্তুত ছিলেন তিনি। এ সুযোগই কাজে লাগিয়েছেন এএস রোমার কোচ, সদ্য উয়েফা কনফারেন্স লিগজয়ী জোসে মরিনিও। প্রিয় ছাত্রকে কোনো দলবদল ফি ছাড়াই দলে টানার এ সুযোগ মরিনিও কীভাবে হারাতে পারতেন!
রোমার সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করেছেন মাতিচ। এর আগে ২০১৪ সালে মরিনিওর চেলসি আর ২০১৭ সালে মরিনিওর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নাম লিখিয়েছিলেন মাতিচ। টানা আট বছর প্রিমিয়ার লিগে খেলার পর এবারই প্রথম দেশ বদলাচ্ছেন মরিনিওর অধীন চেলসিতে লিগ জেতা এই মিডফিল্ডার। যদিও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাঁচ বছর থেকে কিছুই জিততে পারেননি।
মজার ব্যাপার হলো, মাতিচ চেলসিরই যুবদলের খেলোয়াড় ছিলেন। মূল একাদশে সুযোগ না পেয়ে দুই বছর পর নাম লেখান বেনফিকাতে। সেখানে আলো ছড়িয়ে নজরে আসেন মরিনিওর।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ২ কোটি ১০ লাখ পাউন্ডের বিনিময়ে চেলসিতে যোগ দেন মাতিচ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যাওয়ার পর সঙ্গে করে চেলসি থেকে এই মাতিচকেও নিয়ে আসেন মরিনিও, ৪ কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে। মাতিচের চেয়ে বেশি মরিনিওর অধীন ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব আর মাত্র এক মিডফিল্ডারেরই আছে—ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড।
অবধারিতভাবেই রোমায় যোগ দেওয়ার পর মাতিচের সাক্ষাৎকারে মরিনিও প্রসঙ্গ উঠেছে।
সেখানেও কোচ সম্পর্কে কৃতজ্ঞতাই ঝরেছে মাতিচের কণ্ঠ থেকে, ‘তাঁর সঙ্গে কাজ করা সব সময় খুব সহজ হয় না। কঠিনও হয় অনেক সময় (হাসতে হাসতে)। তবে তিনি একজন বিজয়ী। আর আমি আমার কোচের কাছ থেকে এমন মনোভাবই চাই। তিনি সেই জিগীষাটা খেলোয়াড়দের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন।’