আবারও টাইব্রেকারে জিতে লিভারপুলের ‘ডাবল’

সিমিকাসের শট জালে জড়াতেই নিশ্চিত আরেকবার টাইব্রেকারে চেলসিকে হারিয়ে লিভারপুলের এফএ কাপ জয়ছবি: এএফপি

আড়াই মাস আগের লিগ কাপের ফাইনালটাই যেন ফিরে এল ওয়েম্বলিতে। ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোলশূন্য ম্যাচে টাইব্রেকারে ১১-১০ গোলে জিতেছিল লিভারপুল। আজ সেই চেলসিকেই টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে হারিয়ে এফএ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল।

লিগ কাপের ফাইনালের মতো শনিবারের এফএ কাপে ফাইনালেও নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় গোল পায়নি লিভারপুল ও চেলসি। এই জয়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের ‘ডাবল’ হয়ে গেল। কোয়াড্রুপল বা শিরোপা চতুষ্টয়ের পথে অর্ধেক পথ পাড়ি দেওয়া হয়ে গেল লিভারপুলের। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা লিভারপুল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ৩ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে।

এফএ কাপ ট্রফি হাতে লিভারপুল
ছবি: রয়টার্স

মৌসুমের লিভারপুলের প্রথম শিরোপা জয়ের ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি দলটির গোলরক্ষক আলিসনের। সেই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকই আজ নায়ক হলেন। টাইব্রেকারের সাডেন ডেথে ম্যাসন মাউন্টের শট নিজের বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন আলিসন। পরের শটে কস্তাস সিমিকাস গোল করে লিভারপুলকে অষ্টম এফএ কাপ এনে দেন। সাদিও মানের নেওয়া টাইব্রেকারের পঞ্চম শটটি এদুয়ার্দ মেন্দি ফিরিয়ে না দিলে লিভারপুল জিততে পারতে তখনই। চেলসির সিজার আজপিলিকুয়েতা দ্বিতীয় শটটা মিস করলেও লিভারপুল প্রথম চার শটেই গোল পেয়েছিল। সাডেন ডেথে হাকিম জিয়েশ ও দিয়োগো জোতা গোল করার পর আলিসনের সেই সেভ।

ম্যাসন মাউন্টের শট ফিরিয়ে দিচ্ছেন আলিসন
ছবি: এএফপি

এর আগে মৌসুমের আগের তিন ম্যাচের ফলই উপহার দিয়েছে দুদল। ৩৩ মিনিটে চোটের কারণে সালাহকে হারিয়ে ফেলা লিভারপুল চতুর্থবারের চেষ্টাতেও নির্ধারিত সময়ে হারাতে পারেনি টমাস টুখেলের দলকে। প্রিমিয়ার লিগে প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করার পর ফিরতি ম্যাচে চেলসির মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে লিভারপুল। এরপর ফেব্রুয়ারিতে লিগ কাপের ফাইনালে গোলশূন্য ড্র ম্যাচের কথা তো আগেই বলা হয়েছে।

এফএ কাপের ফাইনালে দুদলই অবশ্য গোল করার সুযোগ নষ্ট করেছে। প্রথমার্ধে লিভারপুলের কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড লুইস দিয়াজ বেশ কয়েকবারই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে চেলসির মার্কোস আলোনসোর শট লাগে ক্রসবারে। নির্ধারিত সময়ের শেষ ১০ মিনিটে লিভারপুরের দিয়াজ ও অ্যান্ডি রবার্টসনের শটও প্রতিহত হয় পোস্টে।

অতিরিক্ত সময়ে অবশ্য দুদলের কেউই পরিষ্কার সুযোগ পায়নি গোলের।