আট কপালে বার্সাকে মনে করিয়ে দিল বায়ার্ন
চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বার্সেলোনার আট গোল হজমের স্মৃতি এখনো তরতাজা। এর মধ্যে আবারও আরেক দলকে আট গোলে ভাসাল বর্তমান ইউরোপসেরা বায়ার্ন মিউনিখ। এবার ভুক্তভোগী জার্মান ক্লাব শালকে ০৪। নতুন মৌসুমে লিগের প্রথম ম্যাচেই নিজেদের শক্তি দেখাল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
ঘরের মাঠে গত রাতে খেলতে নেমেছিল বায়ার্ন। শালকের সঙ্গে তাদের ম্যাচটা ছিল এই মৌসুমের উদ্বোধনী ম্যাচ। প্রথম ম্যাচেই বায়ার্ন ধারণা দিয়ে দিল, গোটা মৌসুম কেমন খুনে মেজাজে থাকতে পারে তারা, জিতেছে ৮-০ গোলে। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে লিগের প্রথম সপ্তাহে এত বড় জয়ের রেকর্ড আর নেই।
আট গোলের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন উইঙ্গার সার্জ নাব্রি, একটি করে গোল রবার্ট লেভানডফস্কি, লিওন গোরেৎস্কা, টমাস মুলার, দলে নতুন আসা লিরয় সানে ও তরুণ স্ট্রাইকার জামাল মুসিয়ালা।
ম্যাচ হারতে যেন ভুলেই গেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। এই নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ২২ ম্যাচ জিতল বাভারিয়ান দলটি। গত ৭ ডিসেম্বর বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে সর্বশেষ হেরেছিল বায়ার্ন। এরপর টানা ৩১ ম্যাচ ধরে হারের মুখ দেখেনি—জিতেছে ৩০ ম্যাচে, বাকি এক ম্যাচ ড্র।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে মিডফিল্ডার ইয়োশুয়া কিমিখের একটি দুর্দান্ত লম্বা পাস খুঁজে নেয় আক্রমণভাগে থাকা সার্জ নাব্রিকে। ফরাসি সেন্টারব্যাক বেঞ্জামিন স্টাম্বুলিকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের দুরন্ত এক শটে দলকে এগিয়ে দেন এই উইঙ্গার। ১৯ মিনিটে ডি-বক্সের মাঝে জটলা থেকে বল বের করে এনে বক্সের ঠিক বাইরে থাকা গোরেৎস্কার দিকে পাঠান টমাস মুলার। ডান পায়ের মাপা শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই জার্মান মিডফিল্ডার।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে তুরস্কের সেন্টারব্যাক ওজান কাবাক ডি-বক্সে ফেলে দেন পোলিশ স্ট্রাইকার ও গত মৌসুমে বুন্দেসলিগার সেরা খেলোয়াড় রবার্ট লেভানডফস্কিকে। পেনাল্টি থেকে গোল করতে মোটেও সমস্যা হয়নি গত মৌসুমে ৩৪ গোল করা এই তারকার।
বিখ্যাত দুই উইঙ্গার আরিয়েন রোবেন ও ফ্রাঙ্ক রিবেরির উত্তরসূরি হিসেবে সার্জ নাব্রি ও লিরয় সানের ওপরে বেশ ভরসা করে আছে বায়ার্ন। নাব্রি তো গত মৌসুমেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন, এই মৌসুমে দলে যোগ দিয়েছেন সানে-ও। এই দুজনের রসায়ন ঠিকঠাক জমলে কী হয়, সেটার একটা স্বাদ পাওয়া গেছে ম্যাচের ৪৭ ও ৫৯ মিনিটে। সানের পাস থেকে আরও দুই গোল করে স্কোরলাইন ৫-০ করে দেন নাব্রি। পূরণ করেন নিজের হ্যাটট্রিক।
দশ মিনিট পর ডি-বক্সে লেভানডফস্কির দুর্দান্ত এক ‘র্যাবোনা অ্যাসিস্ট’ থেকে বল পেয়ে দলকে আরও এগিয়ে দেন টমাস মুলার। এর দুই মিনিট পর মাঝমাঠ থেকে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে এসে একাই স্কোরলাইন ৭-০ করে দেন সানে। ৮১ মিনিটে গোল করে স্কোরলাইন ৮-০ করেন স্ট্রাইকার জামাল মুসিয়ালা।