লিভারপুল ০-১ ইন্টার মিলান (লাওতারো মার্তিনেজ)
দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টারে লিভারপুল
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ইন্টার মিলানের বক্সের ডানদিক দিয়ে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে গেলেন লিভারপুলের রাইটব্যাক ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড। পাস দিলেন মাঝে থাকা কলম্বিয়ান উইঙ্গার লুইস দিয়াজকে। লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের প্রথম গোল করার স্বপ্নে বিভোর দিয়াজ ডান পা দিয়ে শট করলেন। সে শট আটকাতে কোত্থেকে যেন স্লাইডিং ট্যাকল করে এগিয়ে এলেন চিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদাল!
গোটা ম্যাচে আর্তুরো ভিদালের এই হার-না-মানা মানসিকতাই বিজ্ঞাপন হয়ে থেকেছে ইন্টারের জন্য। আর ইন্টারের দাঁত কামড়ানো দৃঢ়তার সামনে হার মেনেছে সালাহ-মানেদের সকল আক্রমণ। আর তাতেই লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ড থেকে ১-০ গোলের জয় ছিনিয়ে এনেছে বর্তমান ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। গোল পেয়েছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজ।
হারের ফলে লিভারপুলের অবশ্য কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের ব্যবধানে কোয়ার্টারে উঠেছে লিভারপুল। আগের লেগে ২-০ গোলে জিতে নিজেদের কাজটা যে এগিয়ে রেখেছিল তারা!
৬১ মিনিটে ডান পায়ের দর্শনীয় এক শটে গোল পেয়ে যান ইন্টারের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজ। গোলটা ঠিকমতো উদযাপন করতে না করতেই ইন্টারের চিন্তা বাড়িয়ে দেন চিলিয়ান উইঙ্গার আলেক্সিস সানচেজ। দুই মিনিট পরেই লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফাবিনিওকে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন আর্সেনাল ও বার্সেলোনার সাবেক এই উইঙ্গার। অবশ্য প্রথমার্ধে আরেক মিডফিল্ডার থিয়াগো আলকানতারাকেও ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি।
এক জন কমে যাওয়ার পর আরও রক্ষণাত্মক হয়ে যায় ইন্টার। নেরাজ্জুরিদের ডিবক্সের সামনে নিরন্তর ঘোরাফেরা করেও বক্সের মধ্যে ঢুকে সেভাবে শট নিতে পারেননি সালাহরা। সুযোগ পেলেও, দুর্দান্তভাবে আটকে দিয়েছেন ভিদাল-ব্রোজোভিচরা। মাতিপ-সালাহদের অন্তত তিনটা শট পোস্টে না লাগলে আজকের ফলাফলটাও হয়তো লিভারপুলের পক্ষেই থাকত!
এই মৌসুমে নিজেদের মাঠে এটাই লিভারপুলের প্রথম হার। গত বছরের ৭ মার্চের পর এই প্রথম নিজেদের মাটিতে হারল দলটা। সেবার লিভারপুলকে অ্যানফিল্ডে ১-০ গোলে হারিয়ে গিয়েছিল ফুলহাম। এরপর ঘরের মাটিতে টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকেছে দলটি।
তবে তাতে দলটার কোয়ার্টারে উঠতে সমস্যা হয়নি। এই নিয়ে চারবার লিভারপুলকে অন্তত কোয়ার্টার পর্যন্ত নিয়ে গেলেন ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ। সামনে শুধুই কিংবদন্তি ম্যানেজার বব পেইসলি। পাঁচবার লিভারপুলকে কোয়ার্টারে তুলেছিলেন পেইসলি।