অবসরের কারণ যখন গালি!
>বিশ্বকাপে নিজের প্রতিভার প্রতি ঠিক সুবিচার করতে পারেননি সরদার আজমুন। সংক্ষিপ্ত ইরানিয়ান সমর্থকেরা ইনস্টাগ্রামে যাচ্ছেতাইভাবে গালিগালাজ করেছেন আজমুনকে। ফলে অভিমানে জাতীয় দল থেকেই অবসরই নিয়েছেন ‘ইরানিয়ান মেসি’ নামে খ্যাত এই তারকা।
বিশ্বকাপে ইরানের সবচেয়ে বড় ভরসা ছিলেন তিনিই। ‘ইরানিয়ান মেসি’ নামে তো আর এমনি এমনিই তাঁকে ডাকা হয় না। কিন্তু এই প্রত্যাশার ভার কতটুকু বহন করতে পেরেছেন সরদার আজমুন? রাশিয়ান ক্লাব রুবিন কাজানে খেলা এই স্ট্রাইকার বিশ্বকাপে ইরানের হয়ে তিন ম্যাচের প্রতিটিতে প্রতি মিনিট খেলেও গোলের দেখা পাননি। দলও বিদায় নিয়েছে প্রথম রাউন্ড থেকেই। ফলে ইরান–সমর্থকদের ক্ষোভ সব গিয়ে পড়েছে আজমুনের ওপরেই।
আজমুনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন পোস্টে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগালি করেছে তারা। এতে রাগে-দুঃখে ২৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার হুট করে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলেছেন মায়ের অসুস্থতার কথা। ছেলেকে মানুষজনের গালিগালাজের বহর দেখে সেই অসুস্থতার মাত্রা নাকি আরও বেড়েছে!
এদিকে বিশ্বকাপে ইরানের হয়ে একটাও ম্যাচ না খেলতে পেরে অবসর নিয়েছেন আরেক তারকা স্ট্রাইকার রেজা ঘোচান্নেজাদ। তবে তাঁর বয়স হয়েছিল, তাই অবসর নেওয়ার কারণ আছে। কিন্তু আজমুনের ক্ষেত্রে বোঝাই যাচ্ছে, আবেগের বশে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইরান–সমর্থকদের আশা, আজমুনের রাগ কমলে আর তাঁর মা একটু সুস্থ হলেই নিজের সিদ্ধান্ত বদলাবেন। সামনের জানুয়ারিতে এশিয়ান কাপ, শিরোপাপ্রত্যাশী ইরানের সবচেয়ে বড় ভরসা তো তিনিই! সেই আজমুনই যদি না থাকেন, কীভাবে এশিয়ান কাপে ভালো করবে ইরান?
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই রাশিয়ান লিগে খেলতে যাওয়া সরদার আজমুন হলেন সবচেয়ে কম বয়সী ইরানিয়ান খেলোয়াড়, যিনি বাইরের লিগে খেলতে গিয়েছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করেছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ আর বায়ার্ন মিউনিখের জালে। আজমুনকে নিয়ে ইরানিয়ানদের প্রত্যাশার পারদটা চড়েছে বহুগুণ আর তখন থেকেই সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি ‘ইরানিয়ান মেসি’। এখন অপেক্ষা হলো ‘ইরানিয়ান মেসি’ কি রাগ পড়লে জাতীয় দলে ফেরত আসবেন?