ম্যারাডোনার যা অদ্ভুত লাগত, সেটাই এখন তাঁর অভ্যাস

ম্যারাডোনা পরিবারের সঙ্গে এরনান লোপেজের আত্মীয়তার সম্পর্ক আছেছবি : ইনস্টাগ্রাম

আর্জেন্টাইন ফুটবলে ক্লদিও লোপেজকে নিশ্চয়ই চেনেন; কিন্তু এরনান লোপেজের নাম কি শুনেছেন? না, এই দুই লোপেজের মধ্যে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই।

ক্লদিও লোপেজ আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২৩ বছর বয়সী এরনান লোপেজ কখনো আর্জেন্টিনা দলে সুযোগ পাবেন কি না, তা নিয়েই সন্দেহ আছে।

২০১৯ সালে রিভার প্লেটে যোগ দেওয়া এই মিডফিল্ডার এখন ধারে খেলছেন আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগের (প্রিমেরা ডিভিশন) দল গদোই ক্রুজে। কিন্তু রক্তের সম্পর্কের সুবাদে এরনান লোপেজের এমন এক পরিচয় আছে, যা আবার ক্লদিও লোপেজের নেই। আর সেই সম্পর্কটা ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে!

প্রয়াত ’৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তি ম্যারাডোনার বোন অ্যানার নাতি এরনান লোপেজ। ২৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার অবশ্য মাঠে কোনো অনন্য কীর্তি বা দুর্দান্ত খেলে সংবাদপত্রের শিরোনাম হননি। হ্যাঁ, বিষয়টি মাঠেরই, তবে একটু অন্য রকম।

কিংবদন্তি ম্যারাডোনা বুটের ফিতা না বেঁধেই খেলতেন
ছবি : এএফপি

সম্প্রতি আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’–এর সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে কথা বলেন এরনান লোপেজ। সেটি বুটের ফিতা না বাঁধা নিয়ে। লোপেজ জানিয়েছেন, বুটের ফিতা না বেঁধে খেলার পরামর্শটা স্বয়ং ম্যারাডোনার।

আরও পড়ুন

বুটের ফিতা না বাঁধা ম্যারাডোনার খেলার ভিডিও ইউটিউবেই দেখা যায়। লোপেজকে মাঠে দেখলে সেই স্মৃতিটা ফিরে আসতে পারে। আর লোপেজ নিজের বুটের ফিতা না বাঁধার ব্যাপারে বলতে গিয়ে টেনে এনেছেন ম্যারাডোনার স্মৃতি।

ম্যারাডোনাকেও একইভাবে খেলতে দেখে শুরুতে অবাক হলেও পরে ধীরে ধীরে এটাই লোপেজের অভ্যাসে পরিণত হয়, ‘আমি ম্যারাডোনাকে (বুট) এভাবেই ব্যবহার করতে দেখেছি। ছোটবেলায় পারিবারিক খেলায় তাঁকে এভাবে দেখেছি—খুব মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করতাম তিনি কখনো (বুটের) ফিতা বাঁধতেন না।’

ম্যারাডোনার মতো লোপেজও বুটের ফিতা না বেঁধেই খেলেন
ছবি : ইনস্টাগ্রাম

ম্যারাডোনার সেই কৌশলকে পরে লোপেজ নিজের অবলম্বন বানালেন কীভাবে? শুনুন তাঁর মুখেই, ‘প্রথম প্রথম একটু অদ্ভুত লাগত। বুট জোড়া পায়ে থাকে কীভাবে, কেন পা থেকে খুলে আসে না, এটা ভাবতাম। তিনি আমাকে বুঝিয়েছিলেন, শেষের ফিতাগুলো একটু শক্ত (টাইট) করে রাখতে হবে। আর বাকিগুলোর বাঁধন খুলে দিলেই বুট পা থেকে আর খুলে আসবে না। ব্যাপারটা আগ্রহী করে তুলেছিল। এরপর এভাবেই বুট পরে খেলা শিখেছি।’

আরও পড়ুন

এরনান লোপেজ জানিয়েছেন, বুটের ফিতা না বেঁধে খেলা শুরুর পর আর কখনোই তার ব্যত্যয় করেননি। সব সময়ই এভাবেই খেলেছেন, ‘এটা তো ঐতিহ্য। সেই শৈশব থেকেই আমি এভাবেই অনুশীলন করি এবং খেলি। অনেকেই এ নিয়ে বলেছে, কেন বুটের ফিতা বাঁধি না। কিন্তু এভাবে বুট পরে খেলতে আরামই লাগে। কোনো সমস্যা হয় না। ফিতা বাঁধাটাই বরং এখন অদ্ভুত লাগে।’