সাবিনাদের খেপিয়ে তোলেন গোলাম রব্বানীরা, অভিযোগ কোচ বাটলারের

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলবাফুফে

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার উদ্দেশে নেপাল যাওয়া বাংলাদেশ দলকে ঘিরে ধরেছে অন্য রকম এক বিতর্ক। দলে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, বিতর্কটা এ রকমই। বিতর্কের শুরু মূলত পাকিস্তানের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র ম্যাচের পর মিডফিল্ডার মনিকা চাকমার একটি মন্তব্য দিয়ে। সেই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা মনিকা বলেছিলেন, প্রধান কোচ পিটার বাটলার সিনিয়র খেলোয়াড়দের পছন্দ করেন না!

এরপর ভারতকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর অধিনায়ক সাবিনা খাতুন প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দলে কোনো সিনিয়র–জুনিয়র দ্বন্দ্ব নেই, এটা কিছু মিডিয়ার তৈরি। আগামীকাল ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল। এ ম্যাচের আগে আজকের অনুশীলনের পর দলের অস্থিরতা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দলের কোচ বাটলার।

নারী দলের ব্রিটিশ কোচ বাটলার দলে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য দায়ী করেছেন সাবেক কোচ আর বাফুফের ভেতরের কিছু মানুষকে। বাটলার কারও নাম উল্লেখ করেননি, তবে তিনি মূল তিরটা যে নারী দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানীর দিকেই ছুড়েছেন, সেটা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট।

আরও পড়ুন
দলের অনুশীলনে কোচ পিটার বাটলার
বাফুফে

বাটলার কথা শুরু করেন ভুটানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে। ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচটি সহজ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ যতটা সহজ মনে করছে, খেলাটা ততটা সহজ হবে না। ভুটান অনেক উন্নতি করেছে। মাটিতে পা রাখতে হবে। বিনয়ী থাকতে হবে। সেমিফাইনালে খেলা তাদের প্রাপ্যই ছিল।’ বাটলার এরপর যোগ করেন, ‘এটা টেকনিক্যাল বিষয় নয়। এই বিবেচনায় আমরা এগিয়ে। আমাদের ফুটবল দিয়ে আমরা তা প্রমাণ করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, মেয়েদের মনোযোগ ধরে রাখা। এটা অনেক কঠিন।’

মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন কেন, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই গোলাম রব্বানিকে দায়ী করেন বাটলার, ‘আমি এটা বলব। কারণ, বাফুফের সঙ্গে জড়িত মানুষ, সাবেক কোচ, সাবেক জাতীয় দলের কোচ মেয়েদের মনোযোগ নষ্টের চেষ্টা করে। মেয়েদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করে। এমন তথ্য মেয়েদের দেয়, যেটা সত্য নয়। এটা জঘন্য, অগ্রহণযোগ্য।’

আরও পড়ুন
কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর গ্যালারিতে বসে মেয়েদের খেলা দেখার সময় ক্যামেরাবন্দি গোলাম রব্বানী
প্রথম আলো

তাঁরা এমনটা যদি করেই থাকেন, তাহলে কেন করছেন—এ বিষয়ে বাটলারের উত্তর, ‘এটা কি ঈর্ষা থেকে, নাকি নিরাপত্তাহীনতা থেকে করে, সেটা আমি জানি না। আমার মনে হয়, দলকে সংগঠিত করা কঠিন। যখন দলকে ফাইনালে তুলতে যাবেন, তখন যদি আপনার আশপাশে এমন মানুষ থাকে, যাদের অন্যায়ভাবে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে চায়, দলকে ফাইনালে তোলা কঠিন। এটা ন্যায্য আর পেশাদারির মধ্যে পড়ে না।’

প্রথম আলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাবিনা প্রতিটি ম্যাচের আগে সাবেক কোচ গোলাম রব্বানীর সঙ্গে কথা বলে প্রেরণা খোঁজার বিষয়ে বলেছিলেন। কে জানে, বাটলারের কাছে সেটি হয়তো ভালো লাগেনি। এ কারণেই হয়তো গোলাম রব্বানীর দিকে তির ছুঁড়েছেন তিনি!

আরও পড়ুন