তিন পেনাল্টি–গোলে জর্ডানকে হারিয়ে আবারও এশিয়ার সেরা কাতার
কাতার ৩ : ১ জর্ডান
ম্যাচে পেনাল্টি হলো তিনটি। সব কটিই কাতারের। তিনটি পেনাল্টিই কাজে লাগিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এএফসি এশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কাতার। আজ দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালে জর্ডানকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে কাতার। তিনটি গোলই করেছেন উইঙ্গার আকরাম আফিফ।
ম্যাচে সবচেয়ে বেশি শট, বেশি সময় বলে দখল আর বেশি পাস খেলেও জর্ডান হেরেছে কাতারের আক্রমণাত্মক ফুটবলের কাছে। দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও জাপানের পর পঞ্চম দল হিসেবে টানা দুই আসরে এশিয়ান কাপ জিতল কাতার।
অতীত সাফল্য, র্যাঙ্কিং, টানা জয়ে ফাইনালে ওঠা এবং নিজেদের মাঠ মিলিয়ে কাতারই ছিল শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চের ফেবারিট। কিন্তু টুর্নামেন্ট-পূর্ব অনেক হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেওয়া জর্ডান ম্যাচের বেশির ভাগ সময় কাতারের সঙ্গে তাল মিলিয়েই লড়েছে।
খেলা শুরুর প্রথম ১০ মিনিটে জর্ডানের গোলমুখে তিনটি শট নেয় কাতার। তিনটিই আফিফের। একের পর এক আক্রমণের ধারাতেই ২১ মিনিটে জর্ডান ডিফেন্ডার আবদুল্লাহ নাসিবের ফাউলের শিকার হয়ে পেনাল্টি আদায় করে নেন আফিফ। ঠান্ডা মাথায় সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়েও দেন।
ফাইনালের মঞ্চে প্রথম গোল করার পর আফিফের উদ্যাপন ছিল ব্যতিক্রমী। বল জালে পাঠিয়েই নিচু হয়ে পায়ের মোজায় গুঁজে রাখা একটি কার্ড বের করেন আফিফ। নিজের ছবিযুক্ত কার্ডটি ক্যামেরার সামনে দোলাতে দোলাতে হাতের ভেলকিতে পাল্টে ফেলেন।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে জর্ডান সমর্থকদের দুই দফায় হতাশ করেন মুসা তামারি। ফ্রেঞ্চ লিগে খেলা এই ফরোয়ার্ডের একটি শট প্রতিহত হয় কাতারের রক্ষণে, আরেকটি যায় বারের ওপর দিয়ে। বিরতির পর ৬৭ মিনিটে জর্ডানকে সমতায় ফেরান ইয়াজান আল নিয়ামত। তবে এর দুই মিনিট পরই আরেকটি পেনাল্টি হজম করে বসে জর্ডান।
ভিএআর চেকে কাতারকে পেনাল্টি দেওয়া হলে ব্যবধান ২-১ বানিয়ে ফেলেন আফিফ। ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যান আল সাদে খেলা এই উইঙ্গার। যা কাজে লাগিয়ে নিজেদের জয় নিশ্চিত করে কাতার। যোগ করা সময়ের খেলা ১৮ মিনিট ধরে চললেও জর্ডান আর শোধ দিতে পারেনি।