কাবরেরার আক্ষেপ—‘জয়ের সংখ্যা বাড়তেই পারত’
মালদ্বীপের বিপক্ষে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ জেতার পর আক্ষেপই ছিল কোচ হাভিয়ের কাবরেরার কণ্ঠে। প্রথম প্রীতি ম্যাচে প্রতিপক্ষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেও গোল করতে না পারার আক্ষেপ তো ছিলই, সঙ্গে যোগ হয়েছিল আরেকটি—তাঁর শিষ্যরা আরও বেশি ম্যাচ কেন জেতে না।
মালদ্বীপের বিপক্ষে শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জিতেছে বাংলাদেশ। সেটি সম্ভব হয়েছে মজিবর রহমান জনি আর পাপন সিংহের দুই গোলে। প্রথম ম্যাচে গোলের সুযোগ কম তৈরি করেনি বাংলাদেশ, কিন্তু আসল কাজটা না করতে পারায় হারতে হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা আক্ষেপ করেই বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ এখন যে ধরনের ফুটবল খেলে, তাতে আমাদের আরও বেশি ম্যাচ জেতা উচিত। আমার দলের ছেলেদের আরও বেশি জয় প্রাপ্য।’
সেই মন্তব্যের সূত্র ধরেই বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচে আমরা সুযোগ হারিয়েছি।’
কাবরেরার অধীনে ২০২২ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ২৯টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে হেরেছে ১৫টিতে। জয় ৮টি আর ড্র করেছে ৬টি ম্যাচে। কাবরেরা মনে করেন, এ রেকর্ডটা আরও ভালো হতে পারত, ‘আমরা গত তিন বছরে যে ধরনের ফুটবল খেলেছি, তাতে জয়ের সংখ্যা বাড়তেই পারত। কিছু ম্যাচে আমরা খুব ভালো খেলেও বাজে ভুল করে হেরেছি। কিছু ম্যাচে হেরেছি বা ড্র করেছি শুধু গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার জন্য। এ ম্যাচগুলো জিতলে হয়তো আমাদের র্যাঙ্কিং আরও বাড়ত।’
২০২৪ সালে ৮ ম্যাচ খেলে ৬টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। জয় ভুটান আর মালদ্বীপের বিপক্ষে দুটি। তবে গত সেপ্টেম্বরে ভুটানের বিপক্ষে থিম্পুতে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ হেরে যাওয়াটা মেনেই নিতে পারছেন না কাবরেরা। মালদ্বীপের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচে যতবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন, ততবারই তিনি ভুটানের বিপক্ষে হার নিয়ে আক্ষেপ করেছেন।
ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছাড়াও আরও কয়েকটি ম্যাচে বাংলাদেশের ফল ভিন্ন হতে পারত বলে মনে করেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ, ‘গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লেবাননের বিপক্ষে ঢাকার ম্যাচটা আমরা জিততেই পারতাম, করেছি ১-১ ড্র। ঢাকাতেই এ বছর ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের হোম ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়েছি। সাফের সেমিফাইনালে কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচটিও তো দুর্ভাগ্য আমাদের। এ ম্যাচগুলোতে তো আমরা দারুণ খেলেছি।’
মালদ্বীপের বিপক্ষে শনিবারের ম্যাচটিই কাবরেরার বর্তমান চুক্তির মেয়াদে শেষ ম্যাচ ছিল। আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে তাঁর চুক্তির মেয়াদ। কাবরেরার চাকরির মেয়াদ আরও বাড়বে কি না, সে সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।