ফাইনালে জিতেই উৎসব করতে চান ঋতুপর্ণা

ভুটানের জালে আরেকটি গোল, ঋতুপর্ণাদের (ডানে) আরেকবার উদ্‌যাপনবাফুফে

দলে সিনিয়র-জুনিয়র বিতর্ক পেরিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার চূড়ান্ত ধাপে এখন বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে আজ ভুটানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। যেকোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার আনন্দই আলাদা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার আনন্দটা আরও বেশিই হওয়ার কথা।

কিন্তু ম্যাচ শেষে খুব বেশি আনন্দ করেননি বাংলাদেশের মেয়েরা। দলকে প্রথম গোলটি এনে দেওয়া ঋতুপর্ণা চাকমাকে প্রশ্নটা করা হয়েছিল, জয়-উদ্‌যাপনে এত কৃপণতা কেন? ঋতুপর্ণা জানালেন উদ্‌যাপনটা তুলে রেখেছেন ফাইনালের জন্য। তাঁর কথা, ‘বাংলাদেশ থেকে একটা লক্ষ্য নিয়ে এসেছিলাম আমরা, ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলে সেমিফাইনালে উঠব। সেমিফাইনাল শেষে ফাইনালে উঠব। ফাইনালে ওঠা খুব বড় ব্যাপার। আমরা খুবই আনন্দিত। তবে আমরা ফাইনালের পর উদ্‌যাপন করব, যদি ভালো রেজাল্ট হয়।’

ফাইনালে কয়টা গোল করবেন? এমন প্রশ্নও তাঁকে শুনতে হয় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের কাছ থেকে। উত্তরে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘এটা এখন বলতে পারব না। খেলার ওপর সবকিছু নির্ভর করবে। তিন দিন হাতে আছে। এই সময়ে আমরা ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নেব।’

ভুটানকে ৭–১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ নারী দল
বাফুফে

সেমিফাইনালের আগে অনুশীলন মাঠে ঋতুপর্ণা হেসে মজা করে বলছিলেন, ‘আমার কপালে গোল জোটে না।’ আর বলেছিলেন গোল করার চেয়ে করানোর চেষ্টাই বেশি থাকে তাঁর। তবে আজ দশরথ রঙ্গশালার সবুজ মাঠে সপ্তম মিনিটে পেনাল্টি বক্সের কোনা থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক শটে যেভাবে লক্ষ্যভেদ করেন রাঙামাটির মেয়ে ঋতুপর্ণা, কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। সেই গোল দেখেই আভাস মিলছিল দিনটা হয়তো ভালোই যাবে বাংলাদেশ। মিথ্যা হয়নি সেই অনুমান। ভুটানকে উড়িয়ে দিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার খুব কাছে এখন লাল–সবুজের মেয়েরা।

আরও পড়ুন

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের মেয়েরা যখন বাসে উঠতে যাবেন, ঠিক তখন নেপালি সেলফিশিকারিদের কবলে পড়েন ঋতুপর্ণাসহ আরও কয়েকজন। ঋতুপর্ণার সঙ্গে ছবি তুলতে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে নেপালি সমর্থকদের।

আরও পড়ুন