সৌদি–অভিষেকের পর মেসিকে রোনালদোর বার্তা
অফিশিয়াল না হলেও ম্যাচটা ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সৌদি-অভিষেকের। কিন্তু লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমারদের পিএসজির বিপক্ষে অভিষেকটা হওয়ায় এ নিয়ে তুমুল আগ্রহ ছিল ফুটবল দুনিয়াতে। অনেকেই এটিকে মেসি ও রোনালদোর ‘শেষ দ্বৈরথ’ বলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত এই দ্বৈরথে জয়ী মেসির দলই। যদিও রোনালদো জোড়া গোল করেছেন, কিন্তু স্কোরলাইনটা পিএসজির পক্ষে। তারা রিয়াদ অল-স্টার একাদশের বিপক্ষে জিতেছে ৫-৪ গোলে। ৯ গোলের রোমাঞ্চের ম্যাচ নিঃসন্দেহে ফুটবলপ্রেমীদের আনন্দ দিয়েছে প্রবলভাবেই।
ম্যাচ শেষে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়েছেন রোনালদো। মেসিকে আলিঙ্গনের একটি ছবি দিয়ে ‘পুরোনো বন্ধুদের’ সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা বলেছেন পর্তুগিজ তারকা। সৌদি আরবের মাঠে রোনালদোর প্রথম ম্যাচ, দেশটির দুই শীর্ষ ক্লাব আল–হিলাল ও আল নাসরের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া রিয়াদ অল-স্টার একাদশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্বটাও ছিল রোনালদোর হাতেই।
তিনি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ‘মাঠে ফেরা’ ও স্কোরশিটে নাম তোলার তৃপ্তির কথাও বলেছেন। রোনালদো লিখেছেন, ‘মাঠে ফিরতে পেরে খুবই খুশি। স্কোরশিটে নাম তুলতে পেরেও। সেই সঙ্গে পুরোনো কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েও ভালো লাগছে।’
রোনালদো বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। তা–ও বদলি নেমে। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডেই সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রোনালদোকে সাইড বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ব্যাপারটি ফুটবলপ্রেমীদের জন্য ছিল বড় ধরনের ধাক্কা। কম বিতর্ক হয়নি সেটি নিয়ে। বিশ্বকাপের আগে থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন রোনালদো। পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তাঁর অসুখী জীবনের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারের কয়েক দিন পরই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কচ্ছেদ হয়। এরপর বিশ্বকাপ খেলেছেন ক্লাবহীন অবস্থায়। নতুন বছরের শুরুতেই ইউরোপের পাট চুকিয়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন তিনি। এখানে বার্ষিক ২০ কোটি ডলারের চুক্তি তাঁর, যা খেলাধুলার ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ। তাঁর অনেক ‘পুরোনো বন্ধু’র জন্য রীতিমতো স্বপ্নের অঙ্ক।
মেসি বিশ্বকাপ জিতে পিএসজিতে ফিরে ছন্দেই আছেন। কাল ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন। এরপর রোনালদো দুটি গোল করেন। কাল গোল পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও। তবে নেইমার মিস করেছেন পেনাল্টি। ৯ গোলের ম্যাচে রেফারিকে দেখাতে হয়েছে লাল কার্ডও। অফিশিয়াল তকমা না থাকলেও সব মিলিয়ে রোমাঞ্চের কোনো অভাব ছিল না রিয়াদের এ ম্যাচে।