২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মেসির ৭০০তম গোলের রাতে এমবাপ্পেরও জোড়া গোল, পিএসজির জয়

মেসি, এমবাপ্পে দুজনই গোল করেছেন মার্শেইয়ের বিপক্ষেরয়টার্স

মেসির পাস থেকে এমবাপ্পের গোল। এমবাপ্পের পাস থেকে মেসির। ম্যাচের তখন মাত্র ২৯ মিনিট। কিন্তু মার্শেইয়ের বিপক্ষে পিএসজির ম্যাচটার ভাগ্য আসলে নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল তখনই। এরপর আর এই ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর বা হারার কথা নয় পিএসজির।

না, সে রকম কিছু হয়নিও। বরং ব্যবধান পরে আরও বেড়েছে। বিরতির পর নেমে মিনিট দশেকের মধ্যে নিজের দ্বিতীয় গোলটা পেয়েছেন এমবাপ্পে, এবারও গোলে সহযোগিতা মেসির। মার্শেইয়ের বিপক্ষে পিএসজি ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত জিতেছে ৩-০ গোলেই।  যে জয়ে ২৫ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে ফরাসি লিগে শীর্ষস্থানটা আরও মজবুত করেছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে মার্শেই।

মেসি-এমবাপ্পের গোল উদযাপন
রয়টার্স
আরও পড়ুন

মেসির জন্য এ এক স্মরণীয় ম্যাচ, স্মরণীয় রাত। এমবাপ্পের পাস থেকে ম্যাচের ২৯ মিনিটে গোলটা করেই তিনি ছুঁয়েছেন দারুণ এক মাইলফলক। ক্লাব ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ৭০০তম গোল। এর মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে করেছেন ৬৭২টি, পিএসজির হয়ে ২৮টি।

মেসি-এমবাপ্পের গোল উদযাপন
রয়টার্স

ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের (আইএফএফএইচএস) তথ্য অনুসারে, শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবলে ৭০০ ক্যারিয়ার গোল এখন মাত্র দুজনের। মেসির আগে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ক্লাব ক্যারিয়ারে ৯৫৭ ম্যাচে যার গোল ৭০৯ টি।   

তবে ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে খেল ৭০০ গোল করেছেন একমাত্র মেসিই। রোনালদোর ৭০৯ গোলের মধ্যে ৮টি সৌদি প্রো লিগ ও ৫টি পর্তুগিজ প্রিমেরা লিগায়। 

আরও পড়ুন

আরও একটা জায়গায় রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে মেসি। ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭০০ গোলের মাইলফলক ছুঁতে রোনালদোকে খেলতে হয়েছিল ৯৪৩ ম্যাচ। মেসি আজ খেলেছেন তাঁর ক্লাব ক্যারিয়ারের ৮৪০তম ম্যাচ। ৭০০ গোল করা কতটা অবিশ্বাস্য সেটা বোঝা যেতে পারে আজ কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকারের একটি টুইটে। মেসি মাইলফলক ছোঁয়ার পর যিনি টুইট করেছেন, ‘মেসি ক্লাব ক্যারিয়ারের ৭০০তম গোল করল। ১৪ বছরে ধরে মৌসুমে ৫০টা করে গোল করলে এই কীর্তি গড়া যায়। পাগলামি!’

একই কথা সত্য রোনালদোর বেলায়ও।

শুধু গোল করাই নয়, এ মার্শেইয়ের বিপক্ষে এ ম্যাচে এমবাপ্পের দুটি গোল বানিয়েও দিয়েছেন মেসি। প্রথমটি ২৫ মিনিটে, পরেরটি ৫৫ মিনিটে। নেইমার চোটের কারণে নেই। তবে এই ম্যাচে মেসি-এমবাপ্পের রসায়ন দেখে মনে হয়েছে, আপাতত নেইমারের অভাব পিএসজিকে বুঝতে দিতে চান না তাঁরা দুজন। একে অন্যকে দিয়ে গোল করা ও করানো এবং গোলের পর গলাগলি করে উদযাপন, কে বলবে, সোমবার 'ফিফা দ্য বেস্ট'-এ বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়ের লড়াইয়ে এ দুজন একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী!

আরও পড়ুন