মারা গেছেন ১৯৯০ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা শিলাচি
১৯৯০ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও ইতালির সাবেক স্ট্রাইকার সালভাতর ‘তোতো’ শিলাচি আজ ৫৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর সাবেক ক্লাব জুভেন্টাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে লিখেছে, ‘বিদায় তোতো।’
৩৪ বছর আগের সেই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ইতালি। ঘরের মাঠে সেই বিশ্বকাপে অপ্রত্যাশিতভাবে গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল জিতে তারকা বনে গিয়েছিলেন শিলাচি। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পালের্মোয় ‘সিভিকো’ হাসপাতালে মলাশয়ের ক্যানসারে ভুগে মারা গেছেন ১৯৯০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬ গোল করা সাবেক এই স্ট্রাইকার।
ইতালির ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি) জানিয়েছে, এখন থেকে আগামী সপ্তাহান্তের মধ্যে সব ম্যাচ শুরুর আগে শিলাচিকে শ্রদ্ধা জানাতে ‘এক মিনিট নীরবতা’ পালন করা হবে। এফআইজিসি প্রধান গ্যাব্রিয়েল গ্রাভিনা তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, ‘তাঁর গোল উদ্যাপন, যা সামষ্টিক আনন্দের মুখ হয়ে উঠেছিল, ইতালিয়ান ফুটবল ঐতিহ্যের চিরকালীন অংশ হয়ে থাকবে।’
আশির দশকের শুরুতে (১৯৮২) মেসিনার হয়ে শিলাচির পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ারের শুরু। সেখানে সাত মৌসুম কাটিয়ে ১৯৮৯ সালে যোগ দেন জুভেন্টাসে। ‘তুরিনের বুড়ি’দের হয়ে তিন মৌসুম খেলার পর ১৯৯২ সালে যোগ দেন ইন্টার মিলানে। ১৯৯৪ সালে ইতালি ছেড়ে উড়াল দেন জাপানের পেশাদার ফুটবলে। সেখানে জে১ লিগের দল জুবিলো আইওয়াতার হয়ে খেলেছেন চার মৌসুম।
ক্লাব ফুটবলে তেমন সাফল্য না পাওয়া শিলাচি জুভেন্টাস ও ইন্টার মিলানের হয়ে অধুনালুপ্ত উয়েফা কাপ (ইউরোপা লিগ) জিতেছেন। জুভেন্টাসের হয়ে কোপা ইতালিয়াও জিতেছেন। কিন্তু ১৯৯০ বিশ্বকাপে তাঁর স্মরণীয় সেই পারফরম্যান্সের কারণে সেমিফাইনালে উঠেছিল ইতালি। টাইব্রেকারে হেরে যায় ডিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার কাছে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লোথার ম্যাথাউসের পশ্চিম জার্মানি।
শিলাচির মৃত্যুতে জুভেন্টাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুভেন্টাসে আমরা তাঁর খেলায় আন্দোলিত হয়ে সৌভাগ্যবান ছিলাম, ১৯৯০ সালের সেই অবিশ্বাস্য গ্রীষ্মে তিনি গোটা ইতালির সঙ্গেও একই কাজ করেছিলেন। বিদায় তোতো, ধন্যবাদ।’
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ১৯৯০ বিশ্বকাপেই ৬ গোল করা শিলাচির জাতীয় দলের হয়ে পুরো ক্যারিয়ারেই গোল ১৬ ম্যাচে ৭টি। অন্য গোলটি করেছিলেন ১৯৯১ সালে ইউরোর বাছাইপর্বে নরওয়ের বিপক্ষে।