হেরেও ফুটবলারদের প্রশংসা বাংলাদেশ কোচের, রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ তপুদের
কুয়েতের সঙ্গে দারুণ লড়েও অতিরিক্ত সময়ে গোল খেয়ে হার। বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা হলো না বাংলাদেশের। ফাইনালে উঠতে পারলে সেটি হতো বড় অর্জন। কারণ, বাংলাদেশ দল এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গেছে সেমিফাইনালকে পাখির চোখ করেই।
বাংলাদেশ দল ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছে এই টুর্নামেন্টে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরার হাতে ছিল না কোনো নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার। তারপরও মালদ্বীপ ও ভুটান ম্যাচে বাংলাদেশ তিনটি করে গোল করেছে। তারপর আজ দুর্দান্ত লড়াকু ফুটবল। কাবরেরা তাঁর দল নিয়ে গর্বিত হতেই পারেন।
আজ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর কণ্ঠে থাকল শিষ্যদের প্রশংসা, ‘সেমিফাইনালে আমরা হারলেও দলের পারফরম্যান্স অসাধারণ হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে ছেলেরা যে ধারাবাহিক ফুটবল খেলেছে, ওদের প্রশংসা করতেই হবে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। আমি ছেলেদের জন্য গর্বিত। ওরা সেরাটা দিয়েছে। আমরা গোলের সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।’
ফিফার তালিকায় ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছে নিজেদের সেরা ফুটবল। বাংলাদেশ দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যেতে পারত। সেটা হয়নি শেখ মোরছালিন সহজ সুযোগ নষ্ট করায়। দ্বিতীয়ার্ধে রাকিবের শট লাগে বারে। সব মিলিয়ে এই হারে কোনো গ্লানি নেই।
কাবরেরার আফসোস থেকে যাচ্ছে, ‘আজ আমরা খেলেছি সম্ভবত টুর্নামেন্টের সেরা দলটার সঙ্গে। ওরা গ্রুপে শীর্ষে ছিল।। হয়তো আমরা তাদের হারিয়ে ফাইনালে উঠতে পারিনি, উঠতে পারলে আরও বেশি খুশি হতাম।’
ম্যাচ শেষে মাঠে খুশি ছিলেন না বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। তাঁরা ভারতীয় রেফারি জন ক্রিস্টালের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন। বাংলাদেশ দলের মিডিয়া অফিসার খালিদ মাহমুদ বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দল রেফারিং নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট। তাঁর ভাষ্য, এ ম্যাচে ভারতীয় রেফারি কুয়েতের অনেক ফাউল এড়িয়ে গেছেন, আবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ কারণে ফুটবলারদের ক্ষোভ রেফারির ওপর।
বাংলাদেশ দলের ডাগআউটে আজ দুটি লাল কার্ড দেখান রেফারি। একটি ফিজিও ডেভিড মাগান ও অন্যটি ম্যানেজার আমের খানকে। হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুনকে। তিন কার্ডে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ দল। এর আগে টুর্নামেন্টে দুটি লাল কার্ড দেখেছেন ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ।
জানা গেছে, বাংলাদেশ দলের সেন্টার–ব্যাক ও শেষ দিকে জামাল ভূঁইয়ার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা তপু বর্মণ বলেছেন, ‘রেফারিই এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে “কিল” করেছে।’ বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজার বলেছেন, ‘রেফারিং নিয়ে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন ফুটবলাররা।’
সংবাদ সম্মেলনেও এ নিয়ে প্রশ্ন হয়েছে। তবে বাংলাদেশ কোচ রেফারিং–বিয়ষক প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি। সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘রেফারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ হওয়ার মতো কিছু দেখিনি। ম্যাচে ভালো রেফারিংই হয়েছে বলব।’