এনজো ফার্নান্দেজের আচরণে খুশি নয় বেনফিকা
এনজো ফার্নান্দেজ এখন হাওয়ায় উড়ছেন। এ মুহূর্তে দলবদলের বাজারে আর্জেন্টাইন ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ফুটবলার তিনি।
পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা থেকে চেলসি তাঁকে ১২ কোটি ১০ লাখ ইউরোয় (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৯৯ কোটি টাকা) সই করেছে, যা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসেরও সর্বোচ্চ। কাতার বিশ্বকাপের ‘সেরা উদীয়মান’ এই আর্জেন্টাইন তারকা এখন চেলসির জার্সিতে ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ লিগে খেলতে মুখিয়ে। পুরো ব্যাপারই তাঁর কাছে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো।
তবে বেনফিকায় এনজোর শেষটা ভালো হয়নি। তাঁকে চেলসির কাছে বিক্রি করে বেনফিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্ফীত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আর্জেন্টাইন ফুটবলারের ওপর মোটেও খুশি নয় ক্লাবটি। বেনফিকা এনজোকে এ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত থেকে যেতে অনুরোধ করলেও তাতে কাজ হয়নি। তিনি নাকি ক্লাব ছাড়ার জন্য রীতিমতো খেপে উঠেছিলেন। এমন আচরণ বেনফিকা সভাপতি রুই কস্তার একেবারেই ভালো লাগেনি।
বিশ্বকাপের আগে বেনফিকার জার্সিতে দারুণ খেলেছিলেন এনজো। হয়ে উঠেছিলেন পর্তুগিজ ক্লাবটির গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন। লিগের মাঝপথে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে আর্জেন্টিনা দলেও গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন। আর্জেন্টিনা ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে ৩৬ বছর পর, এনজো বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান। এর পর থেকেই তিনি বেনফিকা ছাড়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
বিশ্বকাপের পর এনজোর প্রতি বেনফিকা প্রথম বিরক্ত হয় তাঁর নববর্ষের উৎসবের কারণে। বিশ্বকাপের পর তিনি আর্জেন্টিনায় নববর্ষ উদ্যাপনের কথা বলে অনেকটা সময় কাটিয়ে আসেন। কোচ রজার স্মিডট এনজোকে জানুয়ারির দলবদলে ছাড়তে চাননি। কিন্তু চেলসি এনজোর রিলিজ ক্লজের পুরোটা দিয়েই তাঁকে কিনে নিয়েছে। দলবদলের সময় শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে এই চুক্তি পাকা হয়।
রুই কস্তা বলেছেন, ‘দলবদলের শেষ দিনে আমরা এনজোকে বিক্রির জন্য চেলসির সঙ্গে চুক্তি করি। এনজো দলবদলের জন্য রীতিমতো খেপে উঠেছিল।’
এনজোকে রাখার চেষ্টার কথা জানিয়ে কস্তা বলেন, ‘আমরা তাঁকে এই মৌসুমের শেষ পর্যন্ত রাখার অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এনজো এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দিতে চায়নি। সে থাকার বিষয়টা নিয়েই আলোচনাই করতে চায়নি।’
এনজোকে নিয়ে তাঁর কোনো আক্ষেপও নেই বলে জানিয়েছেন বেনফিকা সভাপতি, ‘আমরা শিরোপার দৌড়ে আছি, আশা করেছিলাম এনজো আমাদের সঙ্গে লড়াইটা চালিয়ে যাবে। কিন্তু যে খেলোয়াড় বেনফিকার লাল রঙের জার্সিটা পরতেই চাচ্ছে না, তাকে আপনি কীভাবে ধরে রাখবেন। যে খেলোয়াড় বেনফিকার জার্সি পরতে চায় না, তার জন্য আমি কেন আক্ষেপ করব। সে চলে গেছে, ভালোই হয়েছে, এতে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।’