কন্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে এক আর্জেন্টাইন ও এক ব্রাজিলিয়ান
টটেনহামের সদ্য সাবেক কোচ আন্তোনিও কন্তের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ করেছিলেন এক আর্জেন্টাইন ও এক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। আর সেই দুই ফুটবলার হচ্ছেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ও রিচার্লিসন।
দুই লাতিন আমেরিকান খেলোয়াড়দের নিয়ে এমন ‘বিস্ফোরক তথ্য’ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার সাংবাদিক গাস্তন এদুল। তিনি আর্জেন্টাইন টিভি চ্যানেল টিওয়াইসি স্পোর্টসে কাজ করেন। লাতিন আমেরিকান ফুটবলের পরিচিত ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খেলোয়াড়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংবাদকর্মী হিসেবে পরিচিত তিনি।
টিওয়াইসি স্পোর্টসে এদুলের বিস্ফোরক মন্তব্যটি নিয়ে অবশ্য বেজায় চটেছেন রিচার্লিসন। ২৫ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড কন্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দীর্ঘ টুইট বার্তায় টটেনহামের ব্রাজিলিয়ান তারকা লিখেছেন, ‘আমি বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলাম না। ব্যাপারটা বরং উল্টো ছিল। আমি দুঃখিত যে তিনি (কন্তে) আমার কাছে যা চেয়েছেন, সেটি আমি দিতে পারিনি। তিনি চলে যাওয়ার পর আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছি।’
১৬ মাস দায়িত্বে থাকার পর গত রোববার টটেনহামের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতায় পদত্যাগ করেন কন্তে। এর এক সপ্তাহ আগে টটেনহাম খেলোয়াড়দের ‘স্বার্থপর’ উল্লেখ করে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন কন্তে।
গতকাল টিওয়াইসি স্পোর্টসের অনুষ্ঠানে এদুল জানান, কিছু ফুটবলার কন্তের প্রকাশ্য সমালোচনা একদমই হজম করতে পারেননি, ‘কন্তে কোচের পদে থেকে গেলে রোমেরো টটেনহামে থাকবেন কি না, তা চিন্তা করছিলেন। আমি যত দূর জানি, রিচার্লিসনের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই। কারণ, ওদের সঙ্গে তিনি খুবই খারাপ আচরণ করতেন। শুধু মুখোমুখি বা ব্যক্তিগত পরিসরেই নয়, জনসমক্ষেও।’
এদুল আরও বলেন, ‘কন্তে দায়িত্ব চালিয়ে গেলে কিছু খেলোয়াড় না থাকার আলটিমেটামও দিয়েছিলেন। এরপরই টটেনহামের চেহারা বদলে গেছে।’
কন্তের কারণে কিছু খেলোয়াড়ের আলটিমেটামের বিষয়টি টটেনহাম-সমর্থকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। নাম সামনে আসায় বিরূপ মন্তব্যের শিকার হচ্ছেন রোমেরো, রিচার্লিসনরা।
এ বিষয়ে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার রোমেরো এখনো কিছু বলেননি। তবে রিচার্লিসন নিজের অবস্থান জানান দিয়ে বিদ্রোহের খবরকে মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়েছেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলা, সমালোচনা করা ফুটবলেরই অংশ। কিন্তু আমার বিষয়ে মিথ্যা বললে সেটি মানব না। কন্তেসহ সব কোচকে সব সময়ই সম্মান করে এসেছি আমি। তিনি আমার টটেনহাম ক্যারিয়ারে প্রচুর সহযোগিতা করেছেন।’