২৮ বছর পর যে ইতিহাস ফেরাল এসি মিলান
ইউরোপিয়ান ফুটবল ক্লাবগুলো এখন অনেকটাই বৈশ্বিক রূপ ধারণ করেছে। জাতীয়তাবাদী চেতনার বিপরীতে নানা দেশের সেরা খেলোয়াড়দের এনে কার্যকর একটা দল গঠনই থাকে তাদের লক্ষ্য, যেখানে শিরোপা জেতাই শেষ কথা। এরপরও নানা কারণে নিজ দেশের খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে দল সাজানোর ঘটনা খুব একটা ঘটতে দেখা যায় না।
লম্বা সময় পর সেই বিরল ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন এসি মিলান কোচ স্টেফানো পিওলি। গত রাতে সিরি আ-তে সালেরনিতানার বিপক্ষে এসি মিলানের একাদশে ইতালিয়ান কোনো খেলোয়াড়কে জায়গা দেননি এই ইতালিয়ান কোচ।
এসি মিলানের ইতালিয়ানবিহীন একাদশ দেখার পর সবার মনেই ছিল একটা প্রশ্ন—সর্বশেষ এমন ঘটনা কবে ঘটেছিল? দৃষ্টান্ত খুঁজতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ২৮ বছর আগে।
১৯৯৪–৯৫ মৌসুমে সর্বশেষ ইতালিয়ান কোনো খেলোয়াড়কে ছাড়া একাদশ সাজিয়েছিল মিলান। সে সময় ক্লাবটির কোচ ছিলেন ফ্যাবিও ক্যাপেলো। ক্লাবটিতে তখন নানা ধরনের পরীক্ষা–নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন ক্যাপেলো। অবশ্য টানা তিন মৌসুমে শিরোপা জয়ের পর সেবারই প্রথম শিরোপাহীন থাকতে হয়েছিল মিলানকে।
গতকাল রাতে অবশ্য একাদশে কোনো ইতালিয়ান খেলোয়াড় না রাখলেও চার ফরাসি ফুটবলারকে জায়গা দিয়েছিলেন পিওলি। মিলানের একাদশে জায়গা পাওয়া ফরাসি ফুটবলাররা হলেন মাইক মেইগনান, অলিভিয়ের জিরু, থিও হার্নান্দেজ ও পিয়েরে কালুলু। এ ছাড়া একাদশে ছিলেন একজন করে আলজেরিয়ান, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, বেলজিয়ান, জার্মান, ইংলিশ ও বসনিয়ান।
একাদশে না রাখলেও বেঞ্চ থেকে অবশ্য পরে ২ জন ইতালিয়ান খেলোয়াড়কে মাঠে নামান পিওলি। ৭৭ মিনিটে অ্যালেক্সিস সায়েলেমায়েকার্সের জায়গায় নামেন আলেসান্দ্রো ফ্লোরেনৎসি। আর ৮৫ মিনিট ইসামায়েল বানেকারের জায়গায় নামানো হয় সান্দ্রো তোনালিকে। এত পরীক্ষা–নিরীক্ষাতেও অবশ্য জয় পাওয়া হয়নি মিলানের।
পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকে থাকা সালেরন্তিনার সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করেছে তারা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে অলিভিয়ের জিরু মিলানের হয়ে গোল করেন। পরে ৬১ মিনিটে বুলায়ে দিয়ার গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় সালেরন্তিনা।
এই ড্রয়ে ২৬ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৪ নম্বরে থাকল মিলান। শীর্ষে থাকা নাপোলির চেয়ে ২০ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে ইতালির ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।