২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার বাইরে বেকেনবাওয়ারের ভাস্কর্য

বায়ার্ন মিউনিখের প্রয়াত জার্মান কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারএক্স

জার্মানির প্রয়াত ফুটবল কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারকে শ্রদ্ধা জানাতে নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার বাইরে তাঁর ভাস্কর্য স্থাপন করবে বায়ার্ন মিউনিখ। আজ বায়ার্ন সমর্থকদের ফাউন্ডেশন এ ঘোষণা দিয়েছে।

এ বছরের ৭ জানুয়ারি বার্ধক্যের কারণে মারা যান সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার বেকেনবাওয়ার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। কাইজার বা সম্রাট নামে পরিচিত বেকেনবাওয়ার খেলোয়াড়-কোচ উভয় ভূমিকায় বিশ্বকাপ জেতা তিনজনের মধ্যে একজন। একমাত্র ডিফেন্ডার হিসেবে জিতেছেন দুটি ব্যালন ডি’অর।

ক্লাব ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় বায়ার্ন মিউনিখে খেলেছেন বেকেনবাওয়ার। জার্মানির সফলতম ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন ১৪টি ট্রফি। এর মধ্যে ’৭০-এর দশকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাও আছে।

প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রয়াত কিংবদন্তি গার্ড মুলারের ভাস্কর্য আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বাইরে স্থাপন করা হয়েছে
বায়ার্ন মিউনিখ ওয়েবসাইট

বায়ার্নের আরেক প্রয়াত কিংবদন্তি গার্ড মুলারের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বেকেনবাওয়ারের ভাস্কর্য আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার বাইরে স্থাপন করা হচ্ছে। জার্মান বুন্দেসলিগা ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা (৩৬৫) মুলার ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট মারা যান। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁর ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়।

বায়ার্ন সমর্থকদের সংগঠনের নাম কার্ট লান্ডাউয়ের ফাউন্ডেশন, ক্লাবের সাবেক সভাপতি লান্ডাউয়েরের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। ফাউন্ডেশন আজ জানিয়েছে, বেকেনবাওয়ারের ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্জের তৈরি হবে এবং এর উচ্চতা হবে ২.৭ মিটার, যা তাঁর উচ্চতার দেড় গুণ বেশি।

আরও পড়ুন

বিবৃতিতে ফাউন্ডেশন বলেছে, ‘ব্রোঞ্জের তৈরি বেকেনবাওয়ের ভাস্কর্যে তাঁর অতুলনীয় মার্জিত ভঙ্গিতে উদ্‌যাপন তুলে ধরা হবে।’

বায়ার্নের হয়ে ১৪টি শিরোপা জিতেছেন বেকেনবাওয়ার
এক্স

ফাউন্ডেশন আরও জানিয়েছে, ভাস্কর্য স্থাপনের প্রকল্পটির কাজ শেষ হতে দেড় বছর লাগবে। এতে তাঁর পরিবার ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের পূর্ণ সমর্থন আছে। ভাস্কর্য নির্মাণের খরচ জোগাতে সমর্থকদের অনুদান দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

২০০৬ সালে ফিফা বিশ্বকাপ হয়েছিল জার্মানিতে। এর আগের বছর ৭৫ হাজার ধারণক্ষমতা আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা উদ্বোধন করা হয়। স্টেডিয়ামটি নির্মাণে বেকেনবাওয়ারের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি।