বিশ্বকাপে এই মুহূর্তে বেশ আলোচিত বিষয় ব্রাজিল দলের গোল উদ্যাপনের নাচ। শেষ ষোলোতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে চারবার নাচের আনন্দে মেতেছেন ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা। প্রথমে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলটির পর, এরপর নেইমারের পেনাল্টি গোলের পর একই রকমের উদ্যাপন করেন ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা।
উদ্যাপনের এই নাচ অন্য মাত্রা পায় রিচার্লিসন দলের তৃতীয় গোলটি করার পর। নেইমার–ভিনিসিয়ুসদের সঙ্গে নাচের পর রিচার্লিসন সোজা চলে যান ব্রাজিলের ডাগআউটে। সেখানে তিনি নাচ করেন তাঁর দিকে এগিয়ে আসা তিতেকে নিয়ে।
ব্রাজিল দলের এই নাচ নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ফিফা রিচার্লিসনকে মুখোমুখি বসিয়ে দিয়েছিলেন কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিওর সামনে। সেখানে রোনালদো নিজে থেকে রিচার্লিসনের কাছে নাচটি শিখে নিতে চেয়েছেন। কেউ কেউ অবশ্য মাঠে গোল করে এভাবে নাচাকে প্রতিপক্ষের জন্য অপমানকর হিসেবে দেখছেন।
ব্রাজিল দলের এই নাচের রেশ এখনো কাটেনি। আগামীকাল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচের আগে আজ দলটির সংবাদ সম্মেলনেও নাচের প্রসঙ্গ এসেছে। কেন তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গে এভাবে নাচলেন—এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল তিতেকে।
এই প্রশ্নের উত্তরে তিতে বলেছেন, ‘লোকদের সমালোচনায় কিছু যায়–আসে না তাঁর, তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে আমার একটা যোগাযোগ আছে। আমার বয়স এখন ৬১, আমার দলে ২০–২১ বছর বয়সী খেলোয়াড় আছে। তারা আমার নাতি হতে পারত।’
দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বয়সের এই পার্থক্যের দেয়ালটা সব সময়ই তুলে দিতে চেয়েছেন তিতে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনেক কিছু করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের কোচ, ‘তাদের সঙ্গে সম্পর্কটা দৃঢ় রাখতে যদি আমাকে নাচতে হয়, তাহলে ভবিষ্যতেও নেচে যাব।’
সমালোচকদের উদ্দেশে তিতে বলেছেন, ‘আমি এর জন্য কারও কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব না। কারণ, নাচ আর মজা করাই আমাদের সংস্কৃতি।’