রিয়াল সাবধান, ৬ হাজার ক্যালরি নিয়ে প্রস্তুত হলান্ড
ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ডকে নিয়ে গত বছর একটি তথ্যচিত্র প্রকাশিত হয়েছিল—‘হলান্ড: দ্য বিগ ডিসিশন’। তথ্যচিত্রটি দেখলে যে কেউ তাঁর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। আর চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল ফিরতি লেগের আগে সিটি তারকা অন্তত খাওয়াদাওয়ার দিক থেকে কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সে বিষয়েও ধারণা মিলবে।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আজ সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে সিটির মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়। সে ম্যাচে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন হলান্ড। তেমন ভালো খেলতে পারেননি। রিয়ালের বক্সে খুব কম বল পেয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবেই ফিরতি লেগ যেহেতু নিজেদের মাঠে, বেশির ভাগ দর্শকও নিজেদের, তাই এই ম্যাচে নিশ্চয়ই রিয়ালকে দেখিয়ে দেওয়ার একটা তাড়না কাজ করতে পারে হলান্ডের মনে। সে জন্য মাঠে প্রস্তুতি তো নিচ্ছেনই, এর পাশাপাশি শরীরের যত্নও কম নিচ্ছেন না। আর সেটি বোঝা যায় ইনস্টাগ্রামে তাঁর খাবারের ছবি পোস্ট করা দেখে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটনের কাছে ৩-০ গোলে আর্সেনালের হারের কয়েক ঘণ্টা পর ছবিটি পোস্ট করেন হলান্ড। আর্সেনালের সে হারে হলান্ডের ক্লাব সিটির লিগ জয় আরও নিশ্চিত হয়ে যায়। সেই খুশি আর সামনে রিয়ালের মুখোমুখি হওয়ার চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই হয়তো ছবিটি পোস্ট করেছিলেন নরওয়েজীয় তারকা। দিনে নিয়ম করে ছয়বার খাবার খান হলান্ড। তাঁর দাবি অনুযায়ী, দিনে ছয় হাজার ক্যালরি গ্রহণ করেন। রিয়ালের ডিফেন্ডাররা সাবধান!
তবে হলান্ড যে ছবি পোস্ট করেছেন, তার সঙ্গে ছয় হাজার ক্যালরি নেওয়ার বিষয়টি বেমানান। একটি বেকিং ট্রেতে বেকিং পেপারের ওপর মাংসের খুব ছোট্ট ছোট্ট টুকরা রেখে ছবিটি তোলা হয়েছে। তাঁর নরওয়ে সতীর্থ জশুয়া কিংয়ের কথা স্মরণ করলে হলান্ডের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে পোস্ট করা ছবিটি বেমানান লাগতে পারে। কয়েক মাস আগে জাতীয় দল সতীর্থকে নিয়ে কিং বলেছিলেন, ‘সে পাগল। আমি কাউকে তার মতো খেতে দেখিনি। তার মাংশপেশি বাড়ছে আর খায় ভালুকের মতো।’
হলান্ড অবশ্য পোস্ট করা ছবিটিতে খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কিছু বলেননি। শুধু লিখেছেন, ‘কী দারুণ খাবার!’ হলান্ডের ভক্তরা কিন্তু এই পোস্ট নিয়ে মজা করেছেন। একজনের মন্তব্য, ‘ওকে (হলান্ড) যেন আর কখনো রান্না করতে দেওয়া না হয়।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘খুবই বাজে খাবার।’ কেউ কেউ আবার ভেবে নিয়েছেন, ছবিতে যে মাংস, তা সম্ভবত প্রাণীর হৃৎপিণ্ড ও যকৃতের। কারণ, সেই তথ্যচিত্রে হলান্ড জানিয়েছিলেন, তিনি হৃৎপিণ্ড ও যকৃৎ খেতে পছন্দ করেন।
সেই তথ্যচিত্রে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত কসাইয়ের কাছ থেকে হৃৎপিণ্ড ও যকৃতের মাংস নিতে নিতে হলান্ড বলছেন, ‘আপনারা হয়তো এগুলো খান না। কিন্তু আমি নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া নিয়ে ভাবি। লোকে হয়তো বলতে পারে, মাংস আমার জন্য ভালো নয়। আমার প্রশ্ন হলো, কোন মাংস? ম্যাকডোনাল্ডসের? নাকি এলাকায় ঘাস খেয়ে বড় হওয়া গরুর মাংস? আমি যকৃৎ ও হৃৎপিণ্ড খেতে পছন্দ করি।’