চলতি মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শুরুর একাদশে নিয়মিত নন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বেশির ভাগ ম্যাচেই বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয়েছে তাঁকে। গত বুধবার টটেনহাম হটস্পারের বিপক্ষে লিগের ম্যাচেও রোনালদোকে ঘিরে এমন পরিকল্পনা ছিল কোচ এরিক টেন হাগের। কোচের সে পরিকল্পনা মোটেই পছন্দ করেননি এই পর্তুগিজ তারকা।
ম্যাচের শেষ দিকে কোচ মাঠে নামতে বললে ক্ষুব্ধ রোনালদো মাঠে তো নামেননি, উল্টো সে ম্যাচ শেষের আগেই ৮৯ মিনিটে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। যার শাস্তিস্বরূপ চেলসি ম্যাচের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন রোনালদো। এমনটাই জানিয়েছেন কোচ টেন হাগ নিজেই।
কোচ টেন হাগ স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, খেলা শেষের আগেই মাঠ ছেড়ে যাওয়ার ফল ভোগ করতে হবে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই ফরোয়ার্ডকে। ডাচ এই কোচ বলেছেন, ‘আমি দলের ম্যানেজার। দলের সংস্কৃতি আমাকেই ঠিক রাখতে হবে। দলের নিয়ন্ত্রণ আমার হাতে, আমাকেই মূল্যবোধের মানদণ্ড ঠিক করে দিতে হবে। রোনালদোর সঙ্গে এ নিয়ে স্পষ্ট কথা হয়েছে। বিবৃতিতেও পরিষ্কার বলা হয়েছে। সেখানে এটাও বলেছি, সে এখনো আমাদের স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।’
আগেও একবার টেন হাগের অধীনে প্রাক্-মৌসুম প্রীতি ম্যাচে খেলা শেষের আগেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রোনালদো। সদ্য ইউনাইটেড কোচের দায়িত্ব নেওয়া টেন হাগ তখন রোনালদোর মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আচরণকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে রোনালদো সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা না নেওয়াতেই তাকে ফল ভোগ করতে হবে, ‘রায়ো ভায়েকানোর সে ম্যাচের পরই বলেছিলাম, এমন কাজ গ্রহণযোগ্য নয়। দ্বিতীয়বার এমন করায় অবশ্যই তাকে এর মূল্য দিতে হবে। আর ফুটবলের দলের খেলা, দল সবার আগে। সবাইকে নীতি মেনে চলতে হবে।’
খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বেশ সমালোচনা শুনতে হয়েছে পর্তুগিজ তারকাকে। ফুটবল বিশ্লেষক গ্যারি লিনেকার রোনালদোর এমন আচরণকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক ফুটবলার ড্যানি মিলস বলেছেন, ‘এমন ঘটনা পুরো দল, ম্যানেজার ও সমর্থকদের জন্য অসম্মানজনক। সে স্পষ্টভাবেই নিজেকে ক্লাবের চেয়ে বড় ভাবছে।’
রোনালদো অবশ্য নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারজুড়েই সতীর্থ, পরামর্শক আর কোচদের সম্মান রক্ষা করে খেলে যেতে চেয়েছি। এর পরিবর্তন এখনো হয়নি। আমিও বদলাইনি।’