এসি মিলান ১ : ০ নাপোলি
ইতালিয়ান সিরি এ-তে নাপোলির শিরোপা প্রায় নিশ্চিত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাৎসিওর চেয়ে এগিয়ে ১৬ পয়েন্টে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে তো ক্লাসের প্রথম বেঞ্চের ছাত্র নয়। এবারই যে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে!
ইউরোপ-সেরা মঞ্চের অনভিজ্ঞ নাপোলি শেষ আটের প্রথম লেগে আটকে গেছে ইতালিরই আরেক ক্লাব এসি মিলানের কাছে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা আজ নিজেদের মাঠে নাপোলিকে হারিয়েছে ১-০ গোলে।
চলতি মৌসুমে একমাত্র দল হিসেবে নাপোলিকে দুইবার হারাল মিলান। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে প্রথম লেগ জিতলে পরের লেগে খেলার ইতিহাস দলটির শেষ ৯ বারের মধ্যে সাতবার।
এ মাসের শুরুতে লিগে ঘরের মাঠে মিলানের কাছে ৪-০ ব্যবধানে হেরেছিল নাপোলি। আজ চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে অবশ্য শুরুতে গোল পাওয়ার পথে ছিল নেপলসের দলটিই। প্রথম মিনিটেই কাভিচা কাভারাসখেইলার খুব কাছ নেওয়া শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন রাদে ক্রুনিচ।
চোটের কারণে ভিক্তর ওশিমেন আর জিওভানি সিমিওনেরা না থাকলেও আক্রমণ কম করেনি নাপোলি। প্রথম পনের মিনিটের মধ্যেই অন্তত পাঁচটি শট নেয় দলটি। এর মধ্যে জোরালো দুটি শট হাত দিয়ে ক্রসবারের ওপরের দিকে ঠেলে মিলানকে বাঁচান গোলরক্ষক মাইক মেইগনান।
নাপোলির সুযোগ নষ্ট বা গোলবঞ্চিত হওয়ার ধারার মধ্যেই ৪০ মিনিটে গোল পেয়ে যায় মিলান। নিজেদের অংশ থেকে একাই বল নিয়ে ছুটে যান ব্রাহিম দিয়াজ। বক্সের কাছে এক সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়ার এক পর্যায়ে পেয়ে যান ইসমাইল বেননাসের। তাঁর জোরালো গতির শটে বল গোলরক্ষকের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর সিমোন কেয়ার জোরালো হেড ক্রসবারে না লাগলে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের বদলে উল্টো ১০ জনের দলে পরিণত হয় নাপোলি। ৭৪ মিনিটে দুই হলুদ কার্ডের কারণে মাঠ ছাড়তে হয় মিডফিল্ডার আন্দ্রে ফ্রাঙ্ক আনগিসাকে।
শেষ পর্যন্ত এক গোলের হার নিয়েই সান সিরো ছাড়তে হয় নাপোলিকে। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে পাঁচটি ম্যাচ হারল নাপোলি, যার ৪০ শতাংশই এসি মিলানের কাছে।