কোপার ফাইনাল এবং দি মারিয়াকে নিয়ে যা ভাবছেন মেসি
কোপা আমেরিকার ফাইনালে ফেবারিট কোন দল? কলম্বিয়া না আর্জেন্টিনা? বেশির ভাগ ভোট আর্জেন্টিনার পক্ষে যাওয়াই স্বাভাবিক। ঐতিহ্য কিংবা শক্তিতে কলম্বিয়ার সঙ্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তুলনা চলে না। কিন্তু এটাও মনে রাখা জরুরি, কলম্বিয়া ভাগ্যের জোরে কোপার ফাইনালে উঠে আসেনি। ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিওনেল মেসি এ কথাটিই মনে করিয়ে দিয়েছেন। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মনে করেন, কলম্বিয়া যে টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত সেটার নিশ্চয়ই কারণ আছে। আর কারণ আছে বলেই কলম্বিয়া যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে উঠেছে।
২০২২ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল কলম্বিয়া। এরপর আর তাদের কেউ হারাতে পারেনি। সাবেক কোচ রেইনালদো রুয়েদার অধীনে তিন ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর বর্তমান আর্জেন্টাইন কোচ নেস্তর লরেঞ্জোর অধীনে ২৫ ম্যাচ অপরাজিত কলম্বিয়া। কোপার ফাইনালে এমন প্রতিপক্ষকে সমীহ না করে উপায় আছে! মেসিও তাই বললেন, ‘এই দলটা (কলম্বিয়া) ভালো। দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে। আক্রমণেও দ্রুতগামী ও বৈচিত্র্যময় খেলোয়াড় আছে।’
মায়ামিতে গতকাল স্থানীয় সময় দুপুরে আর্জেন্টিনার টিম হোটেলে এই সাক্ষাৎকার দেন মেসি। সেখানে আর্জেন্টিনার ফাইনাল প্রস্তুতি নিয়ে এই কিংবদন্তি বলেছেন, ‘ফাইনাল ম্যাচ সব সময়ই একটু অন্যরকম হয়। কিন্তু আমরা পুরো টুর্নামেন্টের মতো ফাইনালের আগেও ভালো বোধ করছি। ম্যাচটা কেমন হবে সেটা নিয়েই আমরা ভাবছি।’
২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারে যা যা জেতা সম্ভব তার প্রায়ই সবই জেতা সম্পন্ন করেছেন মেসি। এখন সামনে স্পেনের পর ইতিহাসের দ্বিতীয় দল হিসেবে আর্জেন্টিনাকে টানা তিনটি বড় টুর্নামেন্ট জেতানোর সুযোগ মেসিদের সামনে। স্বাভাবিকভাবেই একটু উত্তেজনাবোধ হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু মেসি বললেন শান্ত থাকার কথা, ‘সত্যিটা হলো আমি শান্তই আছি এবং মুহূর্তটির (ফাইনাল) অপেক্ষায় আছি। এখন সবকিছু অনেক বেশি উপভোগ করার চেষ্টা করি। কোনো তাড়াহুড়ো নেই, প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করি।’
ফাইনালের আগে কেমন বিশ্রাম নিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী মেসি? এ প্রসঙ্গে মেসির কাছে দুটি ফাইনালের অভিজ্ঞতা সমন্ধে জানতে চাওয়া হয়েছিল—মারাকানায় ২০২১ কোপার ফাইনাল এবং ২০২২ ফিনালিসিমা। দুটি ম্যাচই জিতেছিল আর্জেন্টিনা। মেসি এ নিয়ে বলেছেন, ‘ঘুমটা ভালো হয়েছিল। কোনো অসুবিধা হয়নি। তবে সত্যিটা হলো আমরা দেরিতে ঘুমোতে গিয়েছি। প্রায় সারা রাত কথা বলেছি আমরা। সবাই মিলে পান করেছি, কার্ড খেলেছি। তাই দেরিতে ঘুমোতে গেলেও ঘুমটা ভালো হয়েছিল।’
কোপার ফাইনাল সামনে রেখে মেসি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চাননি। কারণ, এখন সেই লগ্নটি তাঁর সতীর্থ আনহেল দি মারিয়ার। কোপার ফাইনাল খেলেই আর্জেন্টিনার জার্সি তুলে রাখবেন দি মারিয়া। মেসি এ নিয়ে বলেছেন, ‘সে এটা আগেই পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন সবকিছুই উপভোগের চেষ্টা করি, আগে যেসব মুহূর্তকে পাত্তা দিইনি সেগুলোও। সে আগের চেয়ে এখন বেশি আবেগপ্রবণ। জাতীয় দলের হয়ে তার শেষ মুহূর্তে আমরা পাশেই আছি।’