গোল উদ্যাপনের বাড়াবাড়ি নিয়ে গার্দিওলা, ‘আমি খুব দুঃখিত’
লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ৪-১ গোলের জয়ের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে পেপ গার্দিওলার উদ্যাপনের একটি ভিডিও। যেখানে হুলিয়ান আলভারাজের সমতাসূচক গোলের পর লিভারপুল তারকা কোস্তাস সিমিকাসের মুখের সামনে গিয়ে উদ্যাপন করতে দেখা যায় গার্দিওলাকে।
সে সময় সিমিকাসের উদ্দেশে হাত বাড়িয়ে কিছু বলতেও দেখা যায় ম্যান সিটির স্প্যানিশ কোচকে। সিমিকাস গার্দিওলার বাড়িয়ে দেওয়া হাত না ধরলেও তাঁর পেছনে থাকা লিভারপুল মিডফিল্ডার আর্থার মেলো হাত মেলান গার্দিওলার সঙ্গে। তখন মেলোকে উদ্দেশ করেও গার্দিওলাকে কিছু বলতে দেখা যায়।
গার্দিওলার এই উদ্যাপন নিয়ে ঘটনার পর থেকে সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই একে ‘অসম্মানজনক’ বলেও মন্তব্য করেছেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলেন এসে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে এই স্প্যানিশ কোচকে। তিনি নিজে অবশ্য কোনো ধরনের অসম্মান করার কথা অস্বীকার করেছেন।
গোলের পর সিমিকাসকে কী বলেছেন, তা জানাতে গিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমি আনন্দিত ছিলাম এবং আমি বলেছিলাম (সিমিকাসকে উদ্দেশ করে) আমাদের গোলটা কত সুন্দর।’
গার্দিওলার এই কথার পর অসম্মানের প্রসঙ্গটি সামনে আনেন সাংবাদিকেরা। জবাবে খানিকটা ব্যঙ্গাত্মক সুরে গার্দিওলা বলেন, ‘আরে নাহ্, আমি খুবই দুঃখিত। সিমিকাসকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, আমার সম্মান দেখানোয় ঘাটতি ছিল কি না। আমি যেভাবে আমার ছেলের সঙ্গে গোল উদ্যাপন করি, সেভাবেই করেছি। আমি খুবই দুঃখিত। আপনার কি মনে হয় সম্মানের ঘাটতি ছিল? আচ্ছা ঠিক আছে, আমি খুবই দুঃখিত।’
ডাগআউটে দাঁড়িয়ে গার্দিওলার এমন অদ্ভুত কাণ্ড অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে প্রিমিয়ার লিগে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচে গোল মিস হওয়ার কারণে মেজাজ হারিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন গার্দিওলা। রাগ মেটাতে সেদিন হাতের কাছে কিছু না পেলেও পায়ের কাছে পেয়ে গিয়েছিলেন পানির বোতল।
শিষ্যের গোল মিস করার জ্বালাটা স্প্যানিশ কোচ মেটাতে গেলেন বোতলে লাথি মেরে। গার্দিওলার লাথির সঙ্গে বোতলটা যেন বিদ্যুৎ-গতিতে ছুটে গেল প্রতিপক্ষ লিডসের ডাগআউটের দিকে। ভিডিওতে দেখা না গেলেও বোঝা যাচ্ছিল, বোতলটি লিডসের ডাগআউটে বসে থাকা কারও গায়ে গিয়ে আঘাত করেছিল।
হঠাৎ লাথি মেরে কাজটা যে ঠিক করেননি, বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি গার্দিওলারও। মাথায় হাত দিয়ে ক্ষমা চাইতে তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে যান প্রতিপক্ষের ডাগআউটের দিকে। সেদিন গার্দিওলার এই কাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার পরিবর্তে অবশ্য হাসাহাসিই হয়েছিল বেশি।