দল ছেড়ে বাড়ি চলে গিয়ে কোচকে ধুয়ে দিলেন কোর্তোয়া
বেলজিয়াম দলে অন্তঃকোন্দলের জেরে এডেন হ্যাজার্ড অবসর নেওয়ার পর দলটির অধিনায়ক করা হয় কেভিন ডি ব্রুইনাকে। কিন্তু ১০ জুন ইস্তাম্বুলে চ্যাম্পিয়ন লিগ ফাইনালে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন ডি ব্রুইনা। সেই চোট ম্যানচেস্টার সিটি তারকাকে প্রায় দুই মাসের জন্য মাঠের বাইরে পাঠিয়েছে।
চোটের কারণে স্বাভাবিকভাবেই ইউরো বাছাইপর্বে খেলতে পারছেন না ডি ব্রুইনা। তাঁর অনুপস্থিতিতে অস্ট্রিয়া ও এস্তোনিয়ার বিপক্ষে বাছাইয়ের ম্যাচ দুটিতে অধিনায়ক হিসেবে রোমেলু লুকাকু ও থিবো কোর্তোয়াকে বেছে নিয়েছিলেন বেলজিয়াম কোচ দমিনিকো তেদেসকো। কিন্তু শনিবার রাতে অস্ট্রিয়া ম্যাচের পর ক্যাম্প ছেড়ে বাড়িতে চলে যান কোর্তোয়া। ফলে আজ রাতে এস্তোনিয়া ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষককে ছাড়াই খেলতে হবে বেলজিয়ামকে।
কোর্তোয়ার চলে যাওয়া নিয়ে কাল সংবাদ সম্মেলনে বিস্ফোরক দাবি করেন কোচ তেদেসকো। জানান, লুকাকুকে অধিনায়কত্ব দেওয়াতে নাকি অপমানিত বোধ করেছেন কোর্তোয়া। সেই অভিমানে ক্যাম্প ছেড়েছেন।
তবে তেদেসকোর এমন অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন কোর্তোয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে লেখা লম্বা পোস্টে কোচের অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন ৩১ বছর বয়সী গোলরক্ষক, ‘সংবাদ সম্মেলনে কোচের কথা শুনে বিস্মিত হয়েছি। সবাইকে একটা ব্যাপার পরিষ্কার করতে চাই যে, ড্রেসিংরুম সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে কোচের সঙ্গে আমার আলোচনার ঘটনা এটাই প্রথম কিংবা শেষ নয়। কিন্তু এবারই প্রথম কেউ বিষয়টাকে প্রকাশ্যে আনলেন। এ ঘটনায় আমি ভীষণ হতাশ। এটা পরিষ্কার করতে চাই যে (আমাকে নিয়ে) কোচের মূল্যায়নের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই।’
অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে অধিনায়কত্ব না পাওয়ায় নয়; বরং চোটের কারণেই বেলজিয়ামের ক্যাম্প ছেড়েছেন বলে দাবি কোর্তোয়ার, ‘সেই কথোপকথনে আমি তাকে (কোচ তেদেসকোকে) এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে বলেছিলাম, যেটা অতীতে আমাদের ক্ষতি করেছিল। এটা সরাসরি সুবিধা নেওয়ার মতো ব্যাপার নয়। জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়া না–হওয়া কোনো খামখেয়ালি বা এলোমেলো সিদ্ধান্ত নয়। এই সিদ্ধান্ত তারই নেওয়া উচিত। আমি তাকে এটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমার ডান হাঁটুর সমস্যা দেখাতে কাল (পরশু) বিকেলে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম। আমার ক্লাব ও জাতীয় দলের চিকিৎসক দলের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে। তাদের পর্যালোচনার পরেই ট্রেনিং ক্যাম্প ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই।’
সতীর্থ লুকাকুর অধিনায়কত্ব পাওয়া নিয়েও তাঁর কোনো অভিযোগ নেই জানিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক আরও লিখেছেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমি তার (কোচের) কাছে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত সেটা পূরণ হয়নি। তবে জোর দিয়ে বলছি, আমি এমন কোনো দাবি করিনি, যা আমার সতীর্থ রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে সম্পর্কিত। এ ব্যাপারে অন্য সতীর্থদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি।’