২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘ম্যারাডোনা-মেসির কাতারেই দি মারিয়া’

বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করেছেন দি মারিয়াছবি : ফিফা

২০০৮ অলিম্পিকে তাঁর গোলেই সোনা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ১৫ বছর পর সেই আনহেল দি মারিয়া গোল করেন কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালেও। দি মারিয়া গোল করেছেন কোপা আমেরিকা ফাইনালে, যে শিরোপা জিতেই দীর্ঘদিনের শিরোপা-খরা ঘোচায় আর্জেন্টিনা।

এমনকি সে বছরের জুনে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিপক্ষে লা ফিনালিসিমায়ও গোল করেছিলেন দি মারিয়া। আর্জেন্টিনার সাফল্যে যাঁর এত অবদান, সেই দি মারিয়া কতটুকু সম্মান পান?

আদৌ কি তিনি নিজের প্রাপ্য সম্মানটুকু পান? আর কেউ দি মারিয়াকে সম্মান দিক বা না দিক, আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ সিজার লুইস মেনোত্তির কাছে তিনি মারিও কেম্পেস, ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও লিওনেল মেসির কাতারে।

আরও পড়ুন

দি মারিয়া যে শুধু আর্জেন্টিনার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই গোল করেছেন, তা নয়, ক্লাব ফুটবলেও অনেক বড় ম্যাচেও জ্বলে উঠেছেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২০১৪ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল, একই বছর কোপা দেল রের ফাইনালেও গোল করেছেন এই উইঙ্গার।

ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও লিওনেল মেসির কাতারেই দি মারিয়াকে রাখেন লুইস মেনোত্তি
ছবি: টুইটার

হয়তো এসব কীর্তি মাথায় রেখেই সুপার দেপোর্তিভো রেডিওতে এক সাক্ষাৎকারে লুইস মেনোত্তি বলেছেন, ‘সে এমন একজন ফুটবলার, যার গ্রেট ফুটবলারদের মতো সম্মান প্রাপ্য। আমি দি মারিয়াকে কেম্পেস, ম্যারাডোনা, মেসির কাতারেই রাখি। আমার কাছে, তার চেয়ে বেশি আর্জেন্টাইন ফুটবলকে কেউ প্রতিনিধিত্ব করেনি। যারা ফুটবল বোঝে, তারা দি মারিয়াকে অনেক সম্মান করে। যারা তাকে চেনে, তারা ভালোবাসে। আমার কাছে সে একজন আদর্শ, যাকে সর্বকালের সেরার সঙ্গে তুলনা করা যায়।’

আরও পড়ুন

আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার সাবেক এই কোচ কথা বলেছেন লিওনেল মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা না খেলা প্রসঙ্গেও। গত জুনে সাতবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী তারকা মেসি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন না। কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, ‘বয়সের কারণে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা আমার জন্য কঠিন। আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি, যদি খেলাটা আমি উপভোগ করি, শারীরিকভাবে ফিট থাকি, তাহলে চালিয়ে যাব। পরবর্তী বিশ্বকাপ এখনো দেরি আছে।’

সিজার লুইস মেনোত্তি
ফাইল ছবি

তবে এই কোচ বলছেন, মেসির জায়গায় তিনি থাকলে ২০২৬ বিশ্বকাপেও খেলতেন, ‘শারীরিকভাবে, বয়স হিসাব করলে মেসি পরের বিশ্বকাপে খেলতে পারে। সে ফিট, অনুশীলন করে, নিজের যত্ন নেয়। মেসি অনবদ্য, তার কোনো চোট নেই। আমি যদি ৩৬ বছর বয়সী হতাম, তার জায়গায় থাকতাম, আমি ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলতাম। সম্ভবত সে আরেকটু স্বাধীনতা চাচ্ছে।’

আরও পড়ুন