২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে যা বললেন নেইমার
কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ব্রাজিলের বিদায়ের পর মাঠে অঝোরে কেঁদেছেন নেইমার। তাঁর সেই অশ্রুসজল মুহূর্ত কোটি ফুটবলপ্রেমীর হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
অথচ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নেইমারের অনিন্দ্যসুন্দর গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। ওই গোলে সেলেসাওদের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে থাকা পেলেকেও ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। সেমিফাইনাল থেকে ব্রাজিল যখন নিশ্বাস দূরত্বে, ঠিক তখনই দূরপাল্লার শটে গোল করে সমতা আনেন ব্রুনো পেতকাভিচ। এরপর ক্রোয়াট গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচের বীরত্বে সর্বনাশ হয় ব্রাজিলের।
হেক্সা (ষষ্ঠ অভিযান) অভিযানে দল ব্যর্থ হওয়ায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন নেইমার। এতটাই ভেঙে পড়েন যে পরবর্তী বিশ্বকাপ তো দূরের কথা, আর কখনো ব্রাজিলের হয়ে খেলবেন কি না, তা নিয়ে দেখা দেয় সংশয়।
তবে দুঃস্মৃতি ভুলে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া নেইমার। যদিও চোট কাটিয়ে ফেরার পর পিএসজির হয়ে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। সর্বশেষ মোনাকোর বিপক্ষে হারের পর পিএসজির ক্রীড়া পরিচালক লুইস কাম্পোসের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ক্লাবে নিজের অবস্থান আরও নড়বড়ে করে ফেলেছেন। সেই বিতর্কের রেশ থাকতেই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ রাতে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে নকআউট পর্বের প্রথম লেগে খেলতে নামছেন তিনি।
ম্যাচ সামনে রেখে ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে গতকাল অনুশীলন করেছেন নেইমার। অনুশীলনের ফাঁকে ব্রাজিলের ক্রীড়াবিষয়ক টিভি চ্যানেল টিএনটি স্পোর্টসকে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। ৩১ বছর বয়সী তারকার সঙ্গে কথা বলেছেন নারী সাংবাদিক ক্লারা আলবুকার্ক।
আলবুকার্কের দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেইমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিল সমর্থকদের খুশিই হওয়ার কথা। ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন নেইমার। এর আগেও এ ব্যাপারে অনেক সাংবাদিক তাঁর কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন অথবা সময় চেয়েছেন তিনি। তবে কাল সাংবাদিক আলবুকার্কের সব প্রশ্নের উত্তর হাসিমুখেই দিয়েছেন।
নেইমার বলেছেন, ‘আমি বছর ধরে ধরে এগিয়ে যেতে চাই। এরপর দেখব কী হয়। অবশ্যই অনেক বড় একটা স্বপ্ন আছে। সেটা হলো বিশ্বকাপ জয়।’
পরবর্তী বিশ্বকাপ আসতে আসতে নেইমারের বয়স হবে ৩৪ বছর। তবে মেসি ৩৫ বছর বয়সে কাতার বিশ্বকাপ জিতে আরেকবার প্রমাণ করেছেন, বয়স শুধুই একটা সংখ্যা।
ক্লাব সতীর্থ মেসির অনুপ্রেরণাতেই ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন বুনছেন নেইমার, ‘লিও (মেসি) সব সময়ই অনুপ্রেরণা। সে সব সময় আমাকে সহযোগিতা করে, উৎসাহিত করে। তাকে ৩৫ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জিততে দেখে আমিও এটা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি।’