৬৭৪৭ দিন পর বেঞ্চে রোনালদো
দিনের হিসাবে সময়টা হয় ৬৭৪৭ দিন! আর সালের হিসাবে ১৮ বছরেরও বেশি। এই সময়ের পৃথিবীতে বদলে গেছে অনেক কিছু। তবে বদলায়নি একটি ধারা, বড় টুর্নামেন্টে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে এ সময়ের মধ্যে বেঞ্চে রেখে ম্যাচ শুরু করেনি পর্তুগাল। সর্বশেষ এ ঘটনা ঘটেছিল ২০০৪ সালের ইউরোতে রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। সে ম্যাচটিতে রাশিয়াকে অবশ্য হারিয়েছিল পর্তুগাল।
সেই ম্যাচের পর ডেড রাবার (অগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ) ছাড়া আর কখনো একাদশের বাইরে ছিলেন না ‘সিআর সেভেন।’ অবশেষে আজ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচ দিয়ে ভাঙল সেই ধারা। এই ম্যাচে রোনালদোকে বেঞ্চে রেখেই শুরু করেছে পর্তুগিজরা।
দল ঘোষণার আগে থেকেই অবশ্য ছিল শঙ্কাটা। বড় প্রশ্নটা ছিল, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একাদশে থাকবেন তো? উত্তরটা পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হলো না। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রোনালদোকে বেঞ্চে রেখেই একাদশ সাজিয়েছেন কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই পর্তুগিজ কোচের পছন্দের তালিকাতে ছিলেন রোনালদো। গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই তাঁকে একাদশে রেখেই দল সাজান সান্তোস। আগে-পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি দলে রোনালদোর অপরিহার্যতা নিয়েও অনেকবার কথা বলেছেন।
এমনকি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে যখন দ্বন্দ্ব চলছিল, তখনো জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন রোনালদো। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের পর থেকেই পরিস্থিতি কিছুটা বদলে গেছে।
সেদিন ৬৫ মিনিটে রোনালদোকে তুলে নেন সান্তোস। যা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি ‘সিআর সেভেন’। মাঠ ছাড়ার সময় দক্ষিণ কোরিয়ার এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে যান রোনালদো। দ্রুত মাঠ ছেড়ে যেতে বলার কারণেই মূলত কোরিয়ান খেলোয়াড়ের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখান পর্তুগিজ তারকা।
মূলত দ্রুত তুলে নেওয়ার কারণেই এমন প্রতিক্রিয়া দেখান রোনালদো। শুধু দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়ের সঙ্গেই রাগারাগি করেই থামেননি। পরবর্তীতে কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের উদ্দেশেও তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
ক্যামেরায় সে সময় রোনালদোকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে তুলে নিতে তাঁর তর সইছে না’। যা পরে জানতে পেরে অসন্তুষ্টির কথা বলেছেন সান্তোসও। যার ফল হিসেবেই হয়তো আজ বেঞ্চে থকে শুরু করতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে।