দক্ষিণ কোরিয়া ব্রাজিলের শ্রদ্ধা পাচ্ছে কেন
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জন্য প্রতিপক্ষ হিসেবে সাধারণ দৃষ্টিতে দক্ষিণ কোরিয়া সহজই। ইতিহাস-ঐতিহ্য, শক্তিমত্তা তো আছেই, দুই দলের সাম্প্রতিক লড়াইয়ের ফলও ব্রাজিলের পক্ষেই। গত জুনে সিউলে এক প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিল ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়াকে। কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে তাহলে পরিষ্কার ফেবারিট ব্রাজিল!
এই জায়গায় কিন্তু কিছু কথা থেকেই যাচ্ছে। কাতারে নিজেদের গ্রুপে দক্ষিণ কোরিয়া যে খেলা খেলেছে, তাদের প্রতি আলাদা করেই শ্রদ্ধা জাগছে সবার। উরুগুয়ের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর, ঘানার বিপক্ষে সেই ম্যাচ; ৩-২ গোলে হেরে গেলেও সে ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া জিতে গেলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচটা বলতে গেলে কোরিয়ার জন্য ছিল অসম এক লড়াই–ই। কিন্তু তাতেই ২-১ গোলে জিতে বাজিমাত তাদের। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচের সঙ্গে পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচের পারফরম্যান্স বিচার করে সোজাসাপ্টা বলে দেওয়ার কোনো উপায় নেই আজ রাতে ব্রাজিল দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দেবে। কাতারে আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব, ফ্রান্স-তিউনিসিয়া, ব্রাজিল-ক্যামেরুন, জার্মানি-জাপান, স্পেন-জাপান—এই ম্যাচগুলো বিচারে নিলে আর স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ব্রাজিলকে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়।
ব্রাজিল অধিনায়ক থিয়াগো সিলভারও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাই আছে। তিনি মনে করেন দক্ষিণ কোরিয়া গ্রুপ পর্বে যে ধরনের খেলা খেলেছে, তাতে এই শ্রদ্ধা না থাকার কোনো কারণ নেই, ‘ম্যাচটা খুবই কঠিন হবে। আমরা তাদের স্কিল সম্পর্কে খুব ভালোই জানি। কোরিয়া খুবই কঠিন একটা গ্রুপ থেকে এসেছে। আমি মনে করি, তাদেরকে একটা দুর্দান্ত দল হিসেবেই আমরা দেখছি।’
দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুতগতির ফুটবল নিয়েও ভাবছে ব্রাজিল। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে ব্রাজিল দলের ফিটনেসও ভালো মানের বলেই জানিয়েছেন থিয়াগো সিলভা, ‘আমি মনে করি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলার জন্য ব্রাজিলের ফিটনেসও খুবই উঁচু মানের। তাদের আগ্রাসী ফুটবল খেলতে দেওয়া যাবে না। এই ম্যাচটা প্রীতি ম্যাচের মতো অতটা সহজ হবে না, সেটা আমরা জানি।’