ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য গল্প লিখে জিতল আর্সেনাল
‘পচা শামুকে পা কাটা’ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। তবে ঘরের মাঠে অবনমন অঞ্চলের দলের বিপক্ষে পয়েন্ট তালিকার চূড়ায় থাকা দলের হার নিশ্চিতভাবেই অঘটনের মতো।
আর্সেনালও আজ সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার শঙ্কায় পড়েছিল। যে বোর্নমাউথ সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ১১ ম্যাচে শুধু একটিতে জিততে পেরেছে, তারাই কিনা লিগের শীর্ষে থাকা গানারদের বিপক্ষে ২–০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল।
পরে ৮ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে সমতা ফেরানোর পর রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর আগ মুহূর্তে জাল কাঁপান তরুণ রেইস নেলসন। ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য গল্প লিখে ম্যাচটা আর্সেনাল জিতে নিয়েছে ৩–২ ব্যবধানে।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে স্বস্তির এ জয়ে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান আবারও পাঁচে নিয়ে গেল আর্সেনাল। মিকেল আর্তেতার দলের পয়েন্ট ৬৩, গার্দিওলার সিটির ৫৮।
সর্বশেষ ২০১২ সালে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচ জিতেছিল আর্সেনাল। উত্তর লন্ডন ডার্বিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৫–২ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল টটেনহামকে। এরপর ৬৫ ম্যাচ দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে জিততে পারেনি গানাররা। আজ সংখ্যাটা বেড়ে ৬৬ হতে যাচ্ছিল। তবে সেটা হতে দেননি নেলসন।
ইউরোপীয় ফুটবলের খোঁজখবর খুব একটা না রাখলে এই নেলসনকে কারও চেনার কথা নয়। ২৩ বছর বয়সী ইংলিশ উইঙ্গার একে তো শুরুর একাদশে জায়গা পান কালেভদ্রে, তার ওপর ঊরুর চোট দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে রেখেছিল তাঁকে।
কাতার বিশ্বকাপের আগে প্রিমিয়ার লিগে নিজের সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন নেলসন। তাও মাত্র ১ মিনিট! প্রায় চার মাস পর আজ লিগে খেলতে নেমেই করলেন বাজিমাত।
৬৯ মিনিটে এমিল স্মিথ রোর বদলি হিসেবে নেলসনকে নামান আর্সেনাল কোচ আর্তেতা। পরের মিনিটে তাঁর অ্যাসিস্ট থেকেই গোল করে গানারদের সমতায় ফেরান বেন হোয়াইট। আর যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শটে দলকে জিতিয়ে প্রত্যাবর্তনকে তো স্মরণীয়ই করে রাখলেন।
এর আগে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই বোর্নমাউথকে এগিয়ে দেন ফিলিপ বিলিং। ৫৭ মিনিটে ব্যবধান ২–০ করেন মার্কোস সেনেসি।
দুই গোল খেয়ে যেন ঘুম ভাঙে আর্সেনালের। ৬২ মিনিটে থমাস পার্টির গোলে ব্যবধান কমিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় স্বাগতিকরা। তরুণ নেলসনের জাদুকরি মুহূর্ত দুটির কথা তো আগেই বলা হলো।