২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

হলান্ডের গোলে ক্রুইফের কথা মনে পড়ছে গার্দিওলার

উড়াল দিয়ে গোল করছেন হলান্ডছবি: টুইটার

বরুসিয়া ডর্টমুন্ড কোচ টারজিচ তাঁর সবই জানেন। কীভাবে খেলেন, ম্যাচের কোন সময়ে কী করতে পারেন—খেলা শেষে আর্লিং হলান্ড নিজেই জানিয়েছেন এসব কথা। দুই মাস আগে বরুসিয়া ছেড়ে আসা খেলোয়াড় সম্পর্কে সব জানেন বলেই হয়তো ম্যাচের ৮৩ মিনিট পর্যন্ত হলান্ডকে থামিয়ে রাখতে পেরেছিলেন।

কিন্তু ম্যান সিটিতে আসার পর ‘গোল মেশিন’ হলান্ডের ‘উৎপাদন-ক্ষমতা’ যে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে পুরোটা সময় থামিয়ে রাখার উপায় কী!

বরুসিয়া পারেনি। পারেনি হলান্ডের ‘সিলেবাসের বাইরে’ থেকে করা এক দুর্দান্ত গোলের কারণে। ম্যাচে তখন ১-১ সমতা। ইতিহাদে ৯০ মিনিট পূর্ণ হতে বাকি আর ৬ মিনিট।

আরও পড়ুন

এমন সময়ে বাঁ প্রান্ত থেকে জোয়াও কানসেলোর বাতাসে ভাসানো পাস পেয়ে যান হলান্ড। বলটা সামনে দিয়ে যাওয়ার আগেই দুই ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে লাফ দেন হলান্ড, শূন্যে থাকতেই বাঁ পায়ের বুটের বাইরের অংশের টোকায় বল জালে!
কী হলো, কীভাবে হলো—বুঝে উঠতে একটু সময় লাগল সবারই। শূন্যে ভেসে ‘রং ফুটে’ গোল—ম্যান সিটি ভাসল উচ্ছ্বাসের জোয়ারে, বরুসিয়া হতবাক আর নিস্তব্ধ।

ক্যামেরা খুঁজে নিল গ্যালারিতে হেসে ওঠা একটি মুখ—আলফি হলান্ড, সাবেক সিটি মিডফিল্ডার। যার আরও বড় পরিচয়—আর্লিং হলান্ডের বাবা।


অবিশ্বাস্য এ গোলের পর অবশ্য দলের উদ্‌যাপনে নিজেকে ভাসাননি হলান্ড। প্রতিপক্ষ সদ্য সাবেক ক্লাব বলে বাঁধ দিয়েছেন উচ্ছ্বাসে। ম্যাচ শেষে বলেছেনও বরুসিয়া নিয়ে তাঁর আবেগের কথা, ‘ম্যাচটা আমার জন্য বিশেষ ছিল, আবেগেরও। বরুসিয়ায় আমার অনেক বন্ধু আছে। কোচ, স্টাফ—সবাইকে আমি চিনি। যে কারণে এটা বিশেষ।’

আরও পড়ুন

সাবেক ক্লাবের বিরুদ্ধে বিশেষ ম্যাচটিতেই অবিশ্বাস্য এক গোল করেছেন হলান্ড। যেটিকে ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফের গোলের সঙ্গে তুলনা করেছেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা।

১৯৭৩ সালে ক্রুইফ ক্যাম্প ন্যুতে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে যে গোল করেছিলেন, সেটির প্রসঙ্গ টেনে গার্দিওলা বলেন, ‘যাঁরা আমাকে চেনেন, তাঁরা জানেন আমার জীবনে একজন ব্যক্তি, একজন শিক্ষক, একজন কোচ হিসেবে ক্রুইফের কী পরিমাণ প্রভাব আছে। অনেক বছর আগে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার হয়ে আতলেতিকোর বিপক্ষে একটি অবিশ্বাস্য গোল করেছিলেন ক্রুইফ, ঠিক হলান্ডের মতো। আর্লিং যে মুহূর্তে গোল করল, আমার মনে পড়ে গেল ক্রুইফের কথা, একই রকমের গোল। জোয়াওয়ের অ্যাসিস্ট ছিল অবিশ্বাস্য, আর আর্লিংয়ের ফিনিশিং ছিল ভিন্নধর্মী।’

শুধু ক্রুইফ নন, সুইডিশ স্ট্রাইকার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গেও হলান্ডের মিল খুঁজে পাচ্ছেন সিটি কোচ, ‘মনে পড়ে আমার বন্ধু ইব্রাও শূন্যে পা ছড়িয়ে খেলতে পারে। আর্লিংও তেমনই খেলেছে।’

বরুসিয়ার গোলপোস্টের সামনে সতীর্থের কাছ থেকে বল পাওয়ার অপেক্ষায় হলান্ড।
ছবি: এএফপি

অ্যাক্রোবেটিক স্টাইলের গোলটি যে বিশেষ কিছু, ২২ বছর বয়সী হলান্ড নিজেও বুঝতে পারছেন। মজার ছলে বললেন, ‘আমার পা’টা মনে হয় অনেক লম্বা। যে কারণে বল পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছি। ক্রসটা ভালো ছিল। হ্যাঁ, বলতেই হবে গোলটাও ভালো ছিল।’  
সিটির হয়ে এটি ছিল হলান্ডের ৯ ম্যাচে ১৩তম গোল। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে ২১ ম্যাচে ২৬তম।