খেলার সূচি






দল পরিচিতি
সেনেগাল: ‘তেরঙ্গা সিংহ’দের গর্জন কি শোনা যাবে
২০০২ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ। ফ্রান্স ০–১ সেনেগাল! শুরুতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ভূপাতিত করা দলটার নাম শুনেই দুই দশক আগের রোমাঞ্চ এসে ধরা দেয়। সেটা ছিল পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির বিশ্বকাপ অভিষেক। নিজেদের প্রথম আসরেই বাজিমাত। স্বপ্নযাত্রাটা শেষ আটে থেমে গেলেও ফুটবল–অনুরাগীদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিল তারা। পরের তিন বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলেও আবার ফিরেছে ২০১৮ বিশ্বকাপে। তবে অদ্ভুত নিয়মের বেড়াজালে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে রাশিয়া ছাড়তে হয়েছে। জয়, হার, ড্র, গোল ব্যবধান, পয়েন্ট—সব নির্ণায়কে জাপানের সমান ছিল সেনেগাল। শেষে কিনা ‘ফেয়ার প্লে’ নিয়মে বাদ পড়তে হয়। তবে এবার আর কোনো সমীকরণ নয়; প্রতিপক্ষদের টক্কর দিয়েই নকআউট পর্বে উঠতে চাইবে তারা।
শক্তি
আফ্রিকান দলগুলোর চিরায়ত বৈশিষ্ট্য হলো খেলোয়াড়দের শারীরিক শক্তি। সেনেগালও ব্যতিক্রম নয়। কৌশল ও দক্ষতায়ও পিছিয়ে নেই। বেশির ভাগ ফুটবলার খেলেন ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে। আক্রমণভাগে সাদিও মানে–ইসমাইলা সার, মাঝমাঠে ইদ্রিসা গেয়া, রক্ষণে কালিদু কুলিবালি–আবদু দিয়ালো–ফোদে বালো তোরে আর গোলবারের নিচে এদুয়ার্দ মেন্দি—সব পজিশনেই আছেন পরীক্ষিতরা।
দুর্বলতা
ইদ্রিসা গেয়া–শেখু কুয়াতেরা ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করে ফেলেছেন। ইদানীং তাঁদের কাছ থেকে বল কেড়ে নিতে দেখা যায়। পাপে মাতার সার–নামপালিস মেন্দিও ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন। তা ছাড়া খেলোয়াড়দের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখাও কোচ আলিউ সিসের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
প্রত্যাশা ও বাস্তবতা
২০০২ সালের সুখস্মৃতি আরেকবার ফিরিয়ে আনতে চাইবে। গ্রুপ পর্বের বাধা টপকালে সামনে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র অথবা ওয়েলস। ওই দিনটিকে নিজেদের করে নিতে পারলে যাত্রাটা আরও দীর্ঘ হবে। তবে গ্রুপ পর্বেও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। শক্তিমত্তায় নেদারল্যান্ডস অনেক এগিয়ে আর কাতার বেশ পিছিয়ে। লড়াইটা হতে পারে ইকুয়েডরের সঙ্গে।...আরও
স্কোয়াড,ফরোয়ার্ড


