খেলার সূচি
দল পরিচিতি
পর্তুগাল: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও বাকি ১০ জন
এক যুগের বেশি সময় ধরে পর্তুগাল দলটার যে বৈশ্বিক ভাবমূর্তি দাঁড়িয়েছে, তা হলো ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও বাকি ১০ জন।’ প্রতিভার অভাব পর্তুগালে কোনোকালেই ছিল না। বরং ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে দাপটের সঙ্গে খেলে যাওয়া পর্তুগিজ খেলোয়াড়দের তালিকা করতে গেলে ‘কাকে ছেড়ে কাকে রাখি’ অবস্থা। কিন্তু সেই খেলোয়াড়েরাই যখন পর্তুগালের জার্সি গায়ে তোলেন, কী যে হয়! প্রতিভার যে ছড়াছড়ি, সেটার ছাপ মাঠে দেখা যায় না বলেই বিশ্বকাপ এখনো পর্তুগালের এক আক্ষেপের নাম। ম্যানচেস্টার সিটির বের্নার্দো সিলভা, জোয়াও কানসেলো, রুবেন দিয়াজ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ব্রুনো ফার্নান্দেজ, এসি মিলানের রাফায়েল লিয়াও—নিজ নিজ দিনে তাঁরা অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু দলগতভাবে বারবার এত হতাশ করেছেন যে এখন এমন প্রশ্নও উঠে গেছে, রোনালদোর উপস্থিতি কিংবা ‘রোনালদোর জন্য খেলা’টাই তাঁদের জন্য এক বড় চাপ হয়ে যায় কি না! ২০২০ ইউরো ও কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও বেশ ভুগেছে পর্তুগাল। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে খেলতে হয়েছে তুরস্ক ও উত্তর মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে প্লে-অফের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। কে জানে, ফাইনালে ইতালি থাকলে পর্তুগালের ভাগ্যে কাতারের টিকিট জুটত কি না! হয়তো নিয়তিই চেয়েছে ইতালি নয়, বিশ্বকাপে রোনালদো থাকুক।
এবার গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষই আগে বিশ্বকাপে পর্তুগালের তিনটি বেদনাদায়ক বিদায়ের সাক্ষী। দক্ষিণ কোরিয়া, ঘানা ও উরুগুয়ের বিপক্ষে পর্তুগাল যথাক্রমে ২০০২, ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচটা খেলেছে। সেসব ভুলে এই শীতে যদি কাতারে সত্যি সত্যিই পর্তুগাল ওদের বিখ্যাত ‘ভিরা’ নাচ দেখাতে চায়, সবার আগে রোনালদোর ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে তাঁর প্রতিভাবান সতীর্থদের। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই, সত্যিই নেই।...আরও