খেলার সূচি
দল পরিচিতি
ক্রোয়েশিয়া: বড় কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে কাতারে
রবার্ট প্রসেনিস্কি, জভেনেমির বোবান ও ডেভর সুকারদের প্রজন্ম আলো ছড়িয়েছিল ১৯৯৮ বিশ্বকাপে। সেমিফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া। ২০ বছর পর বিশ্বকাপে দেশকে আরও এক ধাপ ওপরে তোলেন লুকা মদরিচ–ইভান রাকিতিচদের প্রজন্ম। রাকিতিচ এবার নেই। কিন্তু চিরসবুজ মদরিচ আছেন আর তাঁকে নিয়েই ক্রোয়েশিয়ার এবারের দলটাকে বলা হচ্ছে ‘ক্লাস অব ২০১৮’—তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে যেকোনো প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলার মতো শক্তি আছে বলকান দেশটির।
২০১৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা ক্রোয়েশিয়ার সেই দল থেকে অন্তত ১০ জন এবারের বিশ্বকাপে থাকবেন। এ ছাড়া আতালান্তা উইঙ্গার মারিও পাসালিচ ও লাইপজিগ ডিফেন্ডার ইয়োসকো গাভার্দিয়ালের ওপরও চোখ আছে অনেকের। সব মিলিয়ে নকআউট পর্বে ক্রোয়েশিয়াকে এড়াতে চাইবে যেকোনো দল।
শক্তি
মাঝমাঠে সবাই ‘বল প্লেয়ার’—মদরিচ, মাতেও কোভাচিচ ও মার্সেলো ব্রোজোভিচ। দেশের হয়ে তিনজন মিলিয়ে তিন শর বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ৩৭ বছর বয়স হলেও মাঝমাঠে মদরিচ একাই যেকোনো ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।
দুর্বলতা
গোলপোস্ট ও গোল করায় দুর্বলতা আছে। পোস্টের নিচে আস্থা রাখার মতো কাউকে এখনো খুঁজে পায়নি জ্লাতকো দালিচের দল। আক্রমণভাগেও নেই নির্ভরযোগ্য কোনো স্ট্রাইকার। রক্ষণভাগে প্রতিপক্ষের সেট পিসে মাঝেমধ্যেই বিপদে পড়ে ক্রোয়েশিয়া।
প্রত্যাশা ও বাস্তবতা
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় ওঠার চেষ্টা করবে ক্রোয়েশিয়া। শেষ ষোলোয় স্পেন অথবা জার্মানির মধ্যে যেকোনো একটি কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হবে। বাস্তবতা হলো, শেষ ষোলোতেই সবচেয়ে কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হবে। এই বাধা টপকাতে পারলে আরও বড় কিছুর আশা করতে পারে ক্রোয়েশিয়া।...আরও