মৌসুম শেষের শঙ্কায় টের স্টেগেন, বার্সা কি নতুন গোলরক্ষক নিতে পারবে
লা লিগায় ছুটছে বার্সেলোনা। টানা ছয় ম্যাচ জিতে এখন পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে অবস্থান করছে তারা। সর্বশেষ গতকাল রাতে ভিয়ারিয়ালকে ৫–১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের দল। তবে বড় জয়ের পরও এই মুহূর্তে ঠিক স্বস্তিতে নেই বার্সা। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে নিয়মিত গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছেন।
প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ে শূন্যে লাফিয়ে বল ধরার পর পড়ে গিয়ে ডান হাঁটুতে চোট পান জার্মান এই গোলরক্ষক। তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ভালোই খেলেছেন ইনিয়াকি পেনা। নিকোলাস পেপের শট ঠেকিয়ে গোল খাওয়ার হাত থেকে দলকে রক্ষা করেছেন এবং দলকে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে সহায়তা করেছেন।
বার্সা শিবিরে এখন একটাই আলোচনা, টের স্টেগেন চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরবেন কবে? এ নিয়ে বার্সা কোচ ফ্লিক বলেছেন, ‘অনেক বড় চোট এবং গুরুতর। মনে হচ্ছে না এটা টের স্টেগেনের জন্য ভালো কিছু। চোটের সম্পূর্ণ অবস্থা জানার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে এটা দেখে ভালো মনে হচ্ছে না।’
টের স্টেগেনের পায়ে আজ বিকালে অস্ত্রোপচার করা হবে। তাঁর ডান পায়ের প্যাটেলা টেন্ডন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে স্পোর্তসহ স্পেনের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধান গোলরক্ষক টের স্টেগেন ছাড়া বার্সাকে অন্তত ৮ মাস খেলতে হবে। এ খবর সত্যি হলে টের স্টেগেনকে এই মৌসুমে পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই ক্লাবটির। এ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হচ্ছে, বার্সা কি দ্বিতীয় গোলরক্ষক পেনার ওপর ভরসা করবে, নাকি নতুন কোনো গোলরক্ষকের দিকে হাত বাড়াবে?
স্পেনের ফুটবলে দলবদলের দরজা ৩১ আগস্ট বন্ধ হয়েছে। তবে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) বিশেষ শর্ত মেনে এখনো গোলরক্ষক দলে ভেড়ানোর সুযোগ আছে ক্লাবটির। সে ক্ষেত্রে অবশ্য চোটক্রান্ত খেলোয়াড়টিকে চার মাসের বেশি সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হবে। পাশাপাশি যে গোলরক্ষককে তারা নেবে, তাঁকে ফ্রি এজেন্ট হতে হবে এবং দলবদল শেষ হওয়ার আগেই পূর্বের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ করতে হবে।
এ ছাড়া নতুন যে গোলরক্ষককে তারা কিনবে, তাঁকে আহত গোলরক্ষকের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন দেওয়ার অনুমতি পাবে ক্লাবটি। যেমন বার্সায় টের স্টেগেন বেতন পান বছরে ৯০ লাখ ইউরো। এখন নতুন গোলরক্ষকের বেতন হতে হবে বছরে ৭০ লাখ ইউরোর মধ্যে। এত সব শর্ত মেনে যোগ্য গোলরক্ষক পাওয়া বার্সার জন্য কঠিন এক চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। যে কারণে হয়তো শেষ পর্যন্ত পেনার ওপরই আপাতত ভরসা করতে হবে দলটিকে।