দশজনের ইংল্যান্ড টাইব্রেকারে জিতে শেষ আটে
ইংল্যান্ড ০ (৪): ০ (২) নাইজেরিয়া
র্যাঙ্কিং বলছিল, লড়াইটা ৪র্থ ও ৪০তম দলের।
তবে ১২০ মিনিটের খেলায় র্যাঙ্কিংয়ের পার্থক্যটা বোঝা গেছে কমই। উল্টো ৪০তম নাইজেরিয়াই ক্ষণে ক্ষণে ৪ নম্বর দলের শক্তিতে আবির্ভূত হয়েছে। দুইবার গোলের প্রবল সম্ভাবনা তৈরি করে বল ক্রসবার থেকেও ফিরেছে। তবে টাইব্রেকারে গিয়ে আর আফ্রিকান মেয়েদের দলটি পারেনি।
গোলশূন্য দুই ঘণ্টার পর শুট আউটের খেলায় নাইজেরিয়াকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ফিফা নারী বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। এ নিয়ে টানা পঞ্চম আসরে শেষ আটে উঠল ইংলিশ মেয়েরা। যার মধ্যে শেষ দুইবার খেলেছে সেমিফাইনালেও।
এবারের নারী বিশ্বকাপ প্রথম দিকেই একাধিক ফেবারিটের পতন দেখে ফেলেছে। চারবারের চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র, দুইবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, সাবেক চ্যাম্পিয়ন নরওয়ে আর র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে থাকা ব্রাজিল, কানাডা বাদ পড়ে গেছে আগেভাগেই। ফেবারিটদের মধ্যে টিকে আছে ইংল্যান্ড। গত বছর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা দলটি নাইজেরিয়াকে টপকে সহজেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে বলে ধারণা ছিল অনেকের।
তবে ব্রিসবেনের সানকর্প স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ানদের বিপক্ষে কমই ডানা মেলতে পেরেছেন ইংল্যান্ডের মেয়েরা। বরং ম্যাচের শুরু থেকে ইংল্যান্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আক্রমণ চালিয়ে গেছে আফ্রিকান দলটি।
৯০ মিনিটের খেলায়ই নাইজেরিয়ার দুটি শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, একটি অ্যাশলি প্লাম্পটরের, আরেকটি উচেনা কানুর। এ সময় ইংল্যান্ডের তুলনায় শট বেশি নেয় নাইজেরিয়া (১২–এর বিপরীতে ২০)।
ইংল্যান্ডের মেয়েদের অবশ্য শেষ দিকে রক্ষণেই বেশি মনোযোগ দিতে হয়েছে। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে লরেন জেমস লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ইংল্যান্ড। নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার মিশেল অ্যালোজিকে পায়ে পাড়া দেওয়ায় প্রথমে হলুদ কার্ড দেখানো হয় জেমসকে। পরে ভিএআর দেখে কার্ড পরিবর্তন করে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। লরেন চেলসি ডিফেন্ডার রিস জেমসের বোন।
গোলশূন্য ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত আধা ঘণ্টার খেলায়ও কোনো দল গোল করতে পারেনি। এর পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে টাইব্রেকারে ৪-৩ হেরে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। এবারও শুরুটা হয় জর্জিয়া স্টানওয়ের মিস দিয়ে। তবে প্রথম শট মিসের কারণে পরের দিকে আর ভুগতে হয়নি। কারণ, নাইজেরিয়া তাদের প্রথম দুই শট করলেও ইংল্যান্ডের আর কেউ নিশানা হারাননি।