সালাহ–ডি ব্রুইনাকে ডাকছে সৌদির ফুটবল
গত বছর গ্রীষ্মের দলবদল ইউরোপিয়ান শীর্ষ ক্লাবের খেলোয়াড়দের সৌদি আরব-যাত্রার হিড়িক পড়েছিল। যদিও যাত্রার শুরুটা হয়েছিল জানুয়ারিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দিয়ে। এরপর গ্রীষ্মে একই পথে হাঁটেন করিম বেনজেমা, নেইমার, রবার্তো ফিরমিনোদের মতো তারকারাও। এবারও দলবদল সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে সৌদি ক্লাবগুলো। তাদের লক্ষ্য বেশ কজন শীর্ষ সারির খেলোয়াড়। আর এ তালিকায় শীর্ষ দুটি নাম মোহাম্মদ সালাহ এবং কেভিন ডি ব্রুইনার।
সালাহকে নিয়ে সৌদি আরবের আগ্রহের খবর অবশ্য একেবারেই নতুন কিছু নয়। গত মৌসুমেও তাঁকে ঘিরে সৌদি ক্লাব আল ইত্তিহাদের আগ্রহের কথা শোনা গিয়েছিল। সে সময় খবরে আসে, বোনাস বাদে শুধু বেতন হিসেবে সালাহকে ৭ কোটি ৫৭ লাখ ইউরো দিতে চায় আল ইত্তিহাদ। যদিও অর্থের লোভে টলে যাননি সালাহ। থেকে যান লিভারপুলে। সে সময় না পেলেও আল ইত্তিহাদ অবশ্য দমে যায়নি।
এরপরও বিভিন্ন সময় মিসরীয় তারকার প্রতি ক্লাবটির আগ্রহের খবর সামনে আসে। তবে এ মৌসুম শেষে ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর সৌদি ক্লাবের সালাহকে পাওয়ার পথটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। এর মধ্যে একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ক্লপ লিভারপুল ছাড়ার পর সালাহ আর অ্যানফিল্ডের ক্লাবটিতে থাকতে চান না।
সাবেক মিসরীয় তারকা মিডোর কথা সত্যি ধরলে এত ‘যদি’, ‘কিন্তু’তে না গেলেও হয়। সাবেক এই টটেনহাম তারকা বলেছেন, ‘মোহাম্মদ সালাহ আগামী মৌসুমে সৌদি লিগে খেলবেন। চুক্তি এরই মধ্যে স্বাক্ষর হয়ে গেছে।’ যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগপর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
খানিকটা আকস্মিকভাবেই যেন কেভিন ডি ব্রুইনার নাম জড়িয়েছে সৌদি আরবের সঙ্গে। ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে ডি ব্রুইনার নাম। সিটি প্লে-মেকারের প্রতিনিধিও এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
সিটির সঙ্গে ২০২৫ সালে চুক্তি শেষ হবে ডি ব্রুইনার। সিটি নাকি চায় তাঁর সঙ্গে নতুন করে চুক্তি নবায়ন করতে। তবে চুক্তি নবায়নে বড় বাধা হতে পারে সৌদি আরব। এর মধ্যে ডি ব্রুইনার সম্ভাব্য সৌদি-যাত্রা নিয়ে কথা বলেছেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাও।
ডি ব্রুইনা সৌদি আরব চলে যাবেন কি না জানতে চাইলে গার্দিওলা বলেছেন, ‘এই প্রশ্নটা তার জন্য। আমি চাইব সে থাকুক, কিন্তু আমি জানি না। সংযুক্তির কথা শুনেছি, কিন্তু আমি জানি না কোনো প্রস্তাব আছে কি না। আমি জানি না সৌদি আরব তাকে চাইছে কি না। আমি চাই ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত সে এখানে থাকুক।’
তবে শেষ পর্যন্ত ডি ব্রুইনাকে ছাড়তে হলে সিটি তাঁর জন্য ১৫ কোটি পাউন্ড চাইতে পারে বলেও জানা গেছে। জানা গেছে, সৌদি আরবে ডি ব্রুইনার সম্ভাব্য হতে পারে আল হিলাল। যেখানে তিনি জুটি গড়তে পারেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের সঙ্গে। তাঁকে নিতে আগ্রহী আল নাসর এবং আল ইত্তিহাদের মতো ক্লাবও। শেষ পর্যন্ত ডি ব্রুইনা যেখানেই যাক, তাঁর যাওয়াটাই হবে রোমাঞ্চকর এক খবর।