আইএফএফএইচসের বর্ষসেরা দল: মেসি আছেন, রোনালদো নেই
ফুটবলের ইতিহাস ও রেকর্ড সংরক্ষণ করা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের (আইএফএফএইচএস) বর্ষসেরা দলে জায়গা পেয়েছেন লিওনেল মেসি। তবে বছরের সেরা একাদশে নেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম।
এর আগে আইএফএফএইচএসের ২০২৩ সালের সেরা ১০ খেলোয়াড়ের তালিকাতেও জায়গা পাননি রোনালদো। পরে এ–সংক্রান্ত একটি পোস্টে ‘হা হা’ (অট্টহাসি) ও লজ্জায় চোখ ঢাকার ইমোজি দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
আইএফএফএইচএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘টিম অব দ্য ইয়ার’ তালিকায় আক্রমণভাগে আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, হ্যারি কেইন ও আর্লিং হলান্ড। ২০২৩ সালে এই তিনজনের চেয়ে বেশি গোল করেছেন রোনালদো। ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় তারকা হলান্ডের গোল ৫০টি, ফ্রান্সের এমবাপ্পে ও ইংল্যান্ডের কেইনের গোল ৫২টি করে। আর সৌদি ক্লাব আল নাসরে খেলা রোনালদোর গোল ৫৪টি।
বর্ষসেরা দলে জায়গা পাওয়া ১১ জনের মধ্যে ১০ জনই বর্তমানে ইউরোপীয় ক্লাব খেলেন। ব্যতিক্রম শুধু মেসি, যিনি গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন। মায়ামির ইতিহাসে প্রথম ট্রফি জেতানো মেসির সঙ্গে মাঝমাঠে জায়গা পেয়েছেন সিটির হয়ে ট্রেবল জেতা কেভিন ডি ব্রুইনা ও রদ্রি এবং রিয়াল মাদ্রিদে দারুণ ছন্দে থাকা জুড বেলিংহাম।
রক্ষণভাগে থাকা তিন ফুটবলারের দুজন বায়ার্ন মিউনিখের, একজন সিটির। বায়ার্নের আছেন আলফোনসো ডেভিস ও কিম মিন–জে, সিটির রুবেন দিয়াজ। গোলকিপার হিসেবে আছেন সিটির এদেরসন।
ক্লাব হিসেবে সবচেয়ে বেশি পাঁচজন খেলোয়াড় ম্যানচেস্টার সিটির, তিনজন বায়ার্ন মিউনিখের, একজন করে রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজি ও ইন্টার মায়ামির।
আইএফএফএইচএস বর্ষসেরা দল
এদেরসন (ব্রাজিল), রুবেন দিয়াজ (পর্তুগাল), কিম মিন–জে (দক্ষিণ কোরিয়া), আলফোনসো ডেভিস (কানাডা), রদ্রি (স্পেন), জুড বেলিংহাম (ইংল্যান্ড), কেভিন ডি ব্রুইনা (বেলজিয়াম), লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা), হ্যারি কেইন (ইংল্যান্ড), আর্লিং হলান্ড (নরওয়ে) ও কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স)।