পরিসংখ্যানই বলছে, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সেরা জুটি মেসি–এমবাপ্পে
লিওনেল মেসি কি পিএসজিতে থাকবেন—ফুটবল বিশ্বে এটা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। পিএসজির আরেকটি বিষয় নিয়েও নানা গুঞ্জন চলছে—কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে আসলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মেসি আর ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের সম্পর্ক কেমন। নেইমার চোটের কারণে বাইরে থাকায় তাঁর সঙ্গে এমবাপ্পের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা এখন খুব একটা নেই।
তবে মেসির সঙ্গে এমবাপ্পের সম্পর্ক আসলে কেমন—এ নিয়ে আলোচনা আছে। এর মধ্যে আবার মেসির সঙ্গে পিএসজির নতুন চুক্তি নিয়ে বিশেষ কোনো অগ্রগতির খবর নেই। সব মিলিয়ে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে পিএসজির সমর্থকেরা কিছুটা ধোঁয়াশার মধ্যেই আছেন।
এই যে ফুটবল বিশ্বে গুঞ্জন আর সমর্থকদের মধ্যে ধোঁয়াশা, সংবাদমাধ্যমে তাঁর চুক্তি এবং তাঁকে পেতে বার্সেলোনার আগ্রহের বিষয়—এসবের কোনো প্রভাবই মেসির খেলায় পড়ছে বলে মনে হচ্ছে না। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই পিএসজির জয়ে হয় গোল করে, না হয় গোল করিয়ে অবদান রেখে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
পরশু রাতে ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’তে অঁজের বিপক্ষে পিএসজির ২-১ ব্যবধানের জয়ে গোল করতে পারেননি মেসি। জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়েছেন এমবাপ্পে। গোল না করলেও এমবাপ্পের একটি গোলে সহায়তা করে ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’র একটি কীর্তির ছোট্ট তালিকায় নাম লিখিয়ে নিয়েছেন মেসি। একই সঙ্গে আরেকটি বিষয় প্রমাণ করেছেন—লোকে যা বলার বলুক, এমবাপ্পের সঙ্গে তাঁর জুটির তুলনা মেলা ভার ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে!
২০০৬-০৭ মৌসুমের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে লিগ আঁতে এক মৌসুমে কমপক্ষে ১৫টি গোল ও ১৫টি অ্যাসিস্ট করা খেলোয়াড় হয়ে গেছেন মেসি। এর আগে এ তালিকায় ছিলেন এডেন হ্যাজার্ড (২০ গোল, ১৬ অ্যাসিস্ট) ও এমবাপ্পে (২৮ ও ১৭)।
চলতি মৌসুমে মেসির ১৫ অ্যাসিস্টের ১০টিই এমবাপ্পের গোলে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের কোনোটিতে এবার এক দলের নির্দিষ্ট একজন খেলোয়াড়কে এত অ্যাসিস্ট করেননি আর কেউ। যার মানে, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এখন পর্যন্ত সেরা জুটি মেসি-এমবাপ্পেই। এ রসায়ন আর কত দিন থাকে, সেটাই দেখার বিষয়।