মাঠে ফিরতে জোকোভিচের চিকিৎসকের ‘মিরাকল’–এর অপেক্ষায় মদরিচ
জাতীয় দল ক্রোয়েশিয়া হোক কিংবা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ—লুকা মদরিচের নিবেদনে কখনোই ঘাটতি ছিল না। ৩৮ ছুঁই ছুঁই বয়সেও বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন হিসেবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বড় ম্যাচগুলোতে এখনো অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্স দিয়ে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবে কোপা দেল রের ফাইনাল ও চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালেও মদরিচকে পেতে চাইবে রিয়াল।
কিন্তু লা লিগায় গত ২৫ এপ্রিল জিরোনার বিপক্ষে হারের ম্যাচে ঊরুতে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মদরিচকে। বৃহস্পতিবার স্ক্যান রিপোর্ট হাতে এলে জানা যায়, মদরিচের হ্যামস্ট্রিংয়ে ওয়ান থেকে টু গ্রেডের চিড় ধরেছে। এ ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। রিয়াল তারকা খবরটা শোনার পর আর এক মুহূর্ত দেরি করেননি। মাদ্রিদ ছেড়ে চলে গেছেন সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে।
কেন? এক নারী চিকিৎসকের কাছে। নাম তাঁর মারিয়ানা কোভাচেভিচ। ক্রীড়াঙ্গনের মানুষের কাছে এই মারিয়ানা ‘অলৌকিক চিকিৎসক’ হিসেবে পরিচিত। টেনিস মহাতারকা নোভাক জোকোভিচও মারিয়ানার কাছে চিকিৎসা নিয়েই এ বছর অস্ট্রেলিয়া ওপেনে খেলতে গিয়েছিলেন। চোট থেকে সেরে উঠেই ২২তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে সবাইকে তাকই লাগিয়ে দিয়েছেন জোকোভিচ।
এবার সেই মারিয়ানার শরণ নিয়েছেন মদরিচ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস তারকা মিডফিল্ডারের চোটের সর্বশেষ খবরে দিয়েছে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য। যে চোট থেকে সেরে উঠতে দুই সপ্তাহের মতো লাগার কথা, সেখানে এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই নাকি ভালো বোধ করছেন মদরিচ।
আজ সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ৯ মে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগে তো মদরিচ খেলবেনই, এমনকি ৬ মে ওসাসুনার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনালেও তাঁর থাকার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
মারিয়ানার চিকিৎসার রহস্য
মারিয়ানা কোভাচেভিচের চিকিৎসাপদ্ধতিতে এমন কী রহস্য আছে যে চোটে পড়া খেলোয়াড়েরা এত দ্রুত সেরে ওঠেন? এএস জানিয়েছে, মারিয়ানা প্লাসেন্টা ক্রিম নামের একধরনের ভেষজ মলম ব্যবহার করেন। এটি লাগালে খেলোয়াড়দের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু দ্রুত নিরাময় হতে থাকে। তড়িৎ-চুম্বকীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুতের উচ্চ তরঙ্গ প্রবাহ ব্যবহার করেন ‘অলৌকিক চিকিৎসক’ মারিয়ানা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রোগী যেমন দ্রুত সেরে ওঠেন, একই সঙ্গে ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না।