ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের বর্ণিল উদ্বোধন
চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে পর্দা উঠল দ্বিতীয় ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের। আজ রোববার সকালে বেলুন উড়িয়ে ৪২ দলের এই টুর্নামেন্টের জমকালো উদ্বোধন হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য নারী সাফজয়ী ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকার। তিনি সাফে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আরেক অতিথি সাফের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ফাইনালে জয়সূচক গোলের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
প্রথম আলোর আয়োজনে ও ইস্পাহানি গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় পর্যায়ের এই ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির প্রধান আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক ও টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ইমতিয়াজ সুলতান জনি ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম।
এ ছাড়া ইস্পাহানি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা শাকির ইস্পাহানি, একই গ্রুপের পরিচালক আলী ইস্পাহানি ও বিপণন ব্যবস্থাপক ওমর হান্নান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী মঞ্চে ছিলেন। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। সাফজয়ী দুই তারকা এবং অন্য অতিথিরা জাতীয় পতাকা ও টুর্নামেন্ট পতাকা উত্তোলন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষ্ণা রানী সরকার বলেন, প্রথম আলো ও ইস্পাহানি গ্রুপের আয়োজনে এই টুর্নামেন্ট দেশের ফুটবল উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। উৎপল শুভ্রর এক প্রশ্নের উত্তরে কৃষ্ণা বলেন, ‘প্রথমবার সাফ শিরোপা জয় ছিল আমাদের লক্ষ্য ও স্বপ্ন। এবার ছিল শিরোপা ধরে রাখার লড়াই। সামনেরবার আমরা হ্যাটট্রিক শিরোপা জিততে চাই।’
এবারের সাফ ফাইনালে জয়সূচক গোলটি নিয়ে কথা বলেন ঋতুপর্ণা চাকমা। রাঙামাটির মেয়ে বলেন, ‘বলটা আয়ত্তে নিয়ে আমি বাঁ প্রান্ত থেকে বক্সে ফেলতে চেয়েছিলাম। ওটা যে গোল হয়ে যাবে, ভাবতেই পারিনি।’
কৃষ্ণা ও ঋতুপর্ণার কথা শুনে করতালি দিয়ে তাঁদের অভিনন্দন জানান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও দর্শকেরা।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধন এবারও চট্টগ্রামে হলো। উদ্বোধনী দিনে খেলোয়াড় ও দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উদ্বোধনী ম্যাচে চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ৩-০ গোলে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়েছে।
গোল করেছেন সাকলাইন ইসলাম, জোহায়ের কায়েস ও মোহাম্মদ শহীদ। ম্যাচসেরা হয়েছেন জয়ী দলের ইমরান হাসান ফোরকান। নিজে গোল না পেলেও দলের দুটি গোলে ছিল তাঁর অবদান। ফোরকানের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইস্পাহানি টি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ হুসেইন পিশনামাজ।
এবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে ঢাকার ২৪টি, চট্টগ্রামের ১০টি, খুলনা ও রাজশাহীর ৪টি করে মোট ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ঢাকায় আগামী ৯ ডিসেম্বর।
আগামীকাল সোমবার চট্টগ্রাম পর্বের সমাপ্তি। ২১ নভেম্বর রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে, ২৩ নভেম্বর খুলনার জেলা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বের ম্যাচ হবে।
২৭ নভেম্বর ঢাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে পাঁচ লাখ টাকা এবং রানার্সআপ দল পাবে তিন লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার। আয়োজনটির সম্প্রচার সহযোগী এটিএন বাংলা।
গত বছর ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে ৩২টি দলের অংশগ্রহণ করেছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় গণ বিশ্ববিদ্যালয়।