‘মেসিকে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না’
এমন তো অনুমিতই ছিল! কুরাসাওয়ের বিপক্ষে লিওনেল মেসি গোল না পেলেই বরং অবাক হতে হতো। মেসি প্রত্যাশিতভাবেই কুরাসাওয়ের বিপক্ষে ১০০তম গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। সেখানেই থামেননি, উপহার দিয়েছেন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক। এ হ্যাটট্রিক বোধ হয় আর্জেন্টিনার সমর্থকদের বাড়তি পাওনা।
মেসি একাই যে গোল করেছেন তা নয়, গোল পেয়েছেন আরও চারজন। তাঁদের অন্য চার গোলদাতা নিকোলাস গঞ্জালেস, এনজো ফার্নান্দেজ, আনহেল দি মারিয়া ও গঞ্জালো মন্তিয়েল। সব মিলিয়ে এমন গোল উৎসবের দিনে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছে ৭-০ গোলে।
আর্জেন্টিনার হয়ে গতকাল ক্যারিয়ারের ৯ম হ্যাটট্রিক করেছেন মেসি। তবে এ ম্যাচে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ম্যাচের প্রথমার্ধেই আর্জেন্টিনার হয়ে হ্যাটট্রিকও করেছেন। এমন সব অর্জনের দিনে মেসিতে মুগ্ধ না হয়ে কী থাকা যায়!
মেসি যেভাবে প্রতি ম্যাচেই কোনো না কোনো মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলছেন, নতুন রেকর্ড গড়ছেন, তাতে পিএসজি তারকায় মুগ্ধ হতে হতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার কথা আর্জেন্টিনা দলের। এই যেমন প্রথম প্রীতি ম্যাচেই দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে ক্যারিয়ারে ৮০০তম গোল করেছিলেন মেসি।
এ ম্যাচের গোলদাতা নিকোলাস গঞ্জালেজ হয়তো ক্লান্ত হয়েই বলে ফেলেছেন, মেসিকে আসলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কুরাসাওয়ের বিপক্ষে ২৩ মিনিটে গোল করা গঞ্জালেস বলেছেন, ‘আসলে আপনি মেসিকে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন না। সে বিশ্বসেরা, এটা প্রতি ম্যাচেই প্রমাণ করে চলেছে। যখনই সে বল স্পর্শ করে, আপনার মুখে হাসি ফুটবে।’
এ ম্যাচ দিয়েই দুটি প্রীতি ম্যাচের পালা শেষ করলেন মেসিরা। ডিসেম্বরে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর এ মাসেই প্রথম মাঠে নামে লিওনেল স্কালোনির দল। কুরাসাওকে হারানোর আগে গত শুক্রবার পানামাকে হারায় ২-০ গোলে।