দুর্দান্ত রাশফোর্ড, বিদায়ের শঙ্কায় ল্যাম্পার্ড
সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সের কারণে এমনিতেই চাপের মুখে ছিলেন এভারটন কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। সেই চাপ আরও বাড়ল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়ে।
প্রিমিয়ার লিগে ১৮ নম্বরে থেকে ধুঁকতে থাকা এভারটনের বিপক্ষে ইউনাইটেডের জয়ে আলো ছড়িয়েছেন মার্কোস রাশফোর্ড। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৩-১ গোলের জয়ে ১টি গোল এসেছে আন্তনির কাছ থেকে এবং অন্য গোলটি ছিল আত্মঘাতী। তবে ৩টি গোলেই ছিল রাশফোর্ডের অবদান।
ইউনাইটেডের মাঠে ম্যাচ শুরু হতে না হতেই ধাক্কা খায় এভারটন। ৪ মিনিটের মাথায় রাশফোর্ডের পাসে স্লাইড করে পা ছুঁয়ে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা আন্তনি। তবে এই লিড ১৪ মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি এরিক টেন হাগের দল। পাল্টা জবাব দিয়ে দ্রুতই সমতায় ফেরায় মার্সেসাইডের দলটি। ডি বক্সের ভেতর দাভিদ দে হেয়ার ভুলে গোল করে ল্যাম্পার্ডের দলকে সমতায় ফেরান কনর কোয়াডি। সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর ৫২ মিনিটে সেই কোয়াডির আত্মঘাতী গোলে ফের ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে এভারটন। এই গোলেও ছিল রাশফোর্ড-জাদু। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পাস দিতে চেয়েছিলেন সতীর্থ খেলোয়াড়কে। তবে সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন কোয়াডি।
পিছিয়ে চেষ্টা করেও আর সমতা ফেরাতে পারেনি এভারটন। এমনকি লক্ষ্যভেদ করেও অফসাইডের কারণে পাওয়া হয়নি গোল। উল্টো যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে নিজের প্রাপ্য গোলটি পেয়ে যান রাশফোর্ড। দারুণ ছন্দে থাকা রাশফোর্ড এ নিয়ে টানা পঞ্চম ম্যাচে গোল করলেন। নিজের ক্লাব ক্যারিয়ারে এই প্রথম এমন কীর্তি দেখালেন এই ইংলিশ তারকা।
ম্যাচের পর নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রাশফোর্ড। বলেছেন, ‘পারফরম্যান্স বিবেচনায় এটা সম্ভবত আমার সেরা। মাঠে আমি খুব ভালো অনুভব করেছি। আমি ধারাবাহিকভাবে সুযোগ তৈরি করেছি।’ এভারটন কোচ ল্যাম্পার্ডও রাশফোর্ডের পার্থক্য গড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন, ‘সম্ভবত পার্থক্যটা গড়েছেন মার্কোস রাশফোর্ড। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে শীর্ষ সারির কেউ এমন কিছু করতে পারে।'