অষ্টমবার ব্যালন ডি’অর হাতে নিতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। নাহ্, এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। ৩০ অক্টোবর প্যারিসে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হবে ব্যালন ডি’অরজয়ীর নাম। তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত ১৩ দিন আগেই জানিয়ে দিল মেসির ব্যালন ডি’অর জেতার কথা। তারা বলছে, আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর স্বীকৃতিস্বরূপ রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডি’অর জিতবেন মেসি।
স্পোর্তের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। নারীদের মধ্যে স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী তারকা আইতানা বোনামাতির ব্যালন ডি’অর জেতার খবরও দিয়েছে স্পোর্ত।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই অবশ্য সম্ভাব্য ব্যালন ডি’অরজয়ী হিসেবে সামনে আসছিল মেসির নাম। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিও অনেকটা এগিয়ে রেখেছে মেসিকে। এ ছাড়া ফিফা দ্য বেস্টের পুরস্কারও উঠেছে মেসির হাতে।
বিশ্বকাপের পর নতুন মৌসুমে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে গিয়েও আলো ছড়িয়েছেন মেসি। মায়ামিকে এনে দিয়েছেন তাদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপাটিও। পাশাপাশি মেসির হাত ধরে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালেও খেলেছে তারা। তবে ক্লাব পারফরম্যান্স নয়, মেসি যদি শেষ পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর জেতেন, তবে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতার ঘটনাটিই যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখবে, তা বলাই বাহুল্য।
ব্যালন ডি’অর জেতার পথে মেসির সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ডকে। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে গোলের রেকর্ড ভাঙা হলান্ড সিটির হয়ে ট্রেবল জিতেছেন। যেখানে প্রিমিয়ার লিগ, এএফ কাপ এবং প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি জিতেছে সিটি। ট্রেবল জয়ের পথে গত মৌসুমে সিটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে হলান্ড গোল করেছেন ৫২টি। যেখানে শুধু প্রিমিয়ার লিগেই রেকর্ড ৩৬ গোল করেছেন ২২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। তবে শেষ পর্যন্ত মেসিকে হারিয়ে এবং স্পোর্তের খবরকে মিথ্যা প্রমাণ করে হলান্ড ব্যালন ডি’অর জিততে পারবেন কি না, কয়েক দিন পরই জানা যাবে।
তবে কয়েক দিন আগে মেসি ব্যালন ডি’অর নিয়ে নিজের অনাগ্রহের কথাও জানিয়েছেন। বিশ্বকাপ জয়ের পর এসব ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে ভাবছেন না বলেও মন্তব্য করেছিলেন মেসি। তিনি বলেছেন, ‘সত্যি হচ্ছে, এটা নিয়ে আমি অতটা ভাবছি না। যদি পুরস্কারটা পাই, ভালো। আর যদি না পাই, কিছুই আসে যায় না।’
ব্যালন ডি’অর নিয়ে এমন নির্লিপ্ততা কেন, সেই কারণও জানিয়েছেন মেসি, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারে এটা অনেকবার বলেছি যে ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ একটা পুরস্কার। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটা সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার। কিন্তু আমি কখনোই এটাকে অতটা গুরুত্ব দিইনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলীয় অর্জন।’