জরিমানার পর এবার মাঠেও পয়েন্ট খোয়াল জুভেন্টাস
আর্থিক হিসাব বিবরণীতে অনিয়মের দায়ে ১৫ পয়েন্ট জরিমানা হয়েছে জুভেন্টাসের। এতে খেপেছেন ইতালিয়ান ক্লাবটির সমর্থকগোষ্ঠী ‘আল্ট্রাস’। ২০০৬ সালের সেই ‘ক্যালসিওপোলি’ কেলেঙ্কারির চেয়েও এবারের ঘটনাকে বেশি ভয়াবহ মনে করছে আল্ট্রাস।
সেবার জুভেন্টাসের দুটি লিগ শিরোপা বাতিলের পাশাপাশি দেল পিয়েরো-বুফনদের দ্বিতীয় বিভাগে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার ১৫ পয়েন্ট কেটে নেওয়ায় সিরি’আ টেবিলে তৃতীয় স্থান থেকে দশম স্থানে নেমে গেছে মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রির দল। এমন ধাক্কা খাওয়ার পর কাল রাতে প্রথম মাঠে নেমেছিল জুভেন্টাস। ম্যাচে আতালান্তার বিপক্ষে ৩-৩ ড্র করে আরও ২ পয়েন্ট খুইয়েছে ‘তুরিনের বুড়ি’রা।
অবশ্য ১ পয়েন্টও জুভেন্টাসের জন্য বড় পাওয়া মনে হতে পারে। অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে দুবার পিছিয়ে পড়েছিল জুভেন্টাস। ৪ মিনিটে পোলিশ ফরোয়ার্ড আদেমোলা লোকমান এগিয়ে দেন আতালান্তাকে। ২১ মিনিট পর পেনাল্টি পায় জুভেন্টাস। স্পটকিক থেকে গোল করে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান আনহেল দি মারিয়া। ১০ মিনিট পর গোল করে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন আরকাদিউস মিলিক।
বিরতির পর প্রথম মিনিটেই গোল করে আতালান্তাকে সমতায় ফেরান জোয়াকিম মায়েল। এরপর ৫৩ মিনিটে লোকমানের গোলে আবারও এগিয়ে যায় আতালান্তা। ৬৫ মিনিটে দানিলোর গোলে আবারও সমতায় ফেরে জুভেন্টাস। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের গোলের পর উদ্দাম উদ্যাপনে মেতে ওঠেন জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। বক্সারের মতো মুষ্টিবদ্ধ হাত ছোড়েন।
ম্যাচ শেষে এমন উদ্যাপনের ব্যাখ্যায় আলেগ্রি বলেছেন, ‘আমিও তো মানুষ। এসব থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু মানুষ হওয়াতেই পারিনি। ছেলেদের সঙ্গে মুহূর্তটা উদ্যাপন করেছি।’
১৯ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নয়ে জুভেন্টাস। সমান ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নাপোলি ও ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে এএস রোমা। চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নিতে শীর্ষ চার থেকে ১৪ পয়েন্ট পিছিয়ে ‘তুরিনের বুড়ি’রা।
ম্যাচ শেষে আলেগ্রি জানিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নিতে নিজেদের লক্ষ্য, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে সম্ভবত আরও ৭১ পয়েন্ট লাগবে। আমাদের বাস্তবতায় তাকিয়ে খেলতে হবে।’ তবে আলেগ্রি মনে করেন জুভেন্টাসের অর্জন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ‘আমাদের মাঠের কাজটা করে যেতে হবে। খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ। মানসিকভাবে তেমন একটা ভালো অবস্থায় না থেকেও তারা ভালো খেলেছে। দ্বিতীয় বা তৃতীয়স্থান থেকে দশে নেমে গেলে মনে হয়, আমাদের অর্জন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’