রোনালদো আশপাশে ‘ফিটনেসের স্কুল খুলে রাখেন’
ফিটনেস ঠিক রাখতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও কঠোর শরীরচর্চার কথা কে না জানেন! ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকতেই সতীর্থদের এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতেন পর্তুগিজ তারকা। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিয়েও একই নিয়ম মেনে চলছেন ৩৮ বছর বয়সী তারকা।
আল নাসর সতীর্থদের ‘নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস’ ও ‘কঠোর অনুশীলন’ করার প্রেরণা জোগাচ্ছেন রোনালদো। আল নাসরের পুষ্টিবিদ হোসে বেলসা জানিয়েছেন, পাঁচবার ব্যালন ডি’অরজয়ী রোনালদো আসার পর বাকি খেলোয়াড়েরা খাদ্যাভ্যাস ও অনুশীলন নিয়ে আরও বেশি সচেতন হয়েছেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব রিয়াল মাদ্রিদ স্কুল থেকে পুষ্টির ওপর মাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন বেলসা। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম আইডিয়ালের সঙ্গে আল নাসরের জীবন নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
সেখানে রোনালদোর মতো বিশ্বমানের তারকা ফুটবলারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও ভাগ করেছেন বেলসা, ‘সে (রোনালদো) হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলার, নয়তো সেরা দুজনের একজন। তার সঙ্গে কাজ করতে কেমন লাগবে, এসব নিয়ে শুরুতে একটু ভাবনায় ছিলাম। কিন্তু তার মতো এত পেশাদার ফুটবলার আমি কখনো দেখিনি।’
হোসে বেলসা জানিয়েছেন, রোনালদোর সঙ্গে প্রতিবার কথা বলেই কিছু না কিছু শেখেন তিনি, ‘তার সঙ্গে প্রতিটি আলোচনাই শিক্ষণীয়। খাদ্যাভ্যাস ও ম্যাচের আগে বিশ্রাম নেওয়া নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সে দুটো “রেস্ট মিটার” পরে—রিং ও ব্রেসলেট। সে সবার আগে অনুশীলনে আসে এবং যায় সবার পরে। তার সঙ্গে কাজ করাটা আনন্দের।’ রোনালদো যে ‘স্মার্ট রিং’ পরেন, সেটি ঘুম ও শরীরের অন্যান্য কার্যাবলির নিয়ন্ত্রণ ও হিসাব রাখার জন্য। এটি হৃৎপিণ্ডের গতি, শ্বাসপ্রশাস ও শরীরের তাপমাত্রার হিসাব রাখে।
ফিটনেস নিয়ে রোনালদোর সচেতনতা আল নাসরের বাকি সতীর্থদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বেলসা, ‘সে এখানে (আল নাসর) আসার পর থেকে সব খেলোয়াড়ই কঠোর অনুশীলন করছে এবং খাদ্যাভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ এনেছে।’
রোনালদো সব সময়ই তাঁর আশপাশে ফিটনেসের স্কুল খুলে রাখেন বলে মনে করেন বেলসা, ‘রোনালদো আমাদের অনেক সাহায্য করে। তাকে তো শেখানোর আর কিছু নেই। সে নিজের আশপাশে সব সময় ফিটনেসের স্কুল খুলে রাখে। আমি এমন আর একটি ক্লাবও দেখিনি, যেখানে খেলোয়াড়েরা নিজেরাই শরীরের ৯০ শতাংশ ফিটনেস ঠিক রাখে।’
আল নাসরের হয়ে এ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলেছেন রোনালদো। ৫ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে ২টি গোলও করিয়েছেন। এর মধ্যে ৪ গোল করেছেন এক ম্যাচেই।